📰 দৈনিক আশুলিয়া
📆 প্রকাশকাল: ২৬ জুন ২০২৫ | বৃহস্পতিবার
🎯 ক্যাটাগরি: কৃষি | উদ্ভাবন | সার্ভিস রিপোর্ট
স্লোগান: সত্য, সংযোগ ও সহায়তার প্রতিচ্ছবি
০৯৬৪৪৩০০৩০০ নম্বরে মিলবে বিনামূল্যে পরামর্শ, কথা বলবেন ব্রি’র বিজ্ঞানীরা
📍 নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর:
ধানচাষে কৃষকের প্রতিটি ধাপে যেন তথ্য ও পরামর্শের সংকট না থাকে—এই লক্ষ্যে ২৪ ঘণ্টার কৃষি হেল্পলাইন (Call Center) চালু করলো বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)। এখন থেকে দেশের যেকোনো প্রান্তের কৃষক ০৯৬৪৪৩০০৩০০ নম্বরে ফোন করেই সার, সেচ, আগাছা নিয়ন্ত্রণ, রোগবালাই, আবহাওয়াভিত্তিক চাষাবাদসহ ধান উৎপাদন সংক্রান্ত যেকোনো পরামর্শ বিনামূল্যে নিতে পারবেন।
বুধবার (২৫ জুন) গাজীপুরে ব্রির প্রধান কার্যালয়ে ‘আবহাওয়ার পূর্বাভাসভিত্তিক কৃষি পরামর্শ প্রচারে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই হেল্পলাইন সেবা উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্রি’র গবেষণা পরিচালক ও ব্রি এগ্রোমেট ল্যাবের চিফ ড. মো. রফিকুল ইসলাম। প্রধান অতিথি ছিলেন মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. এবিএম জাহিদ হোসেন, কো-অর্ডিনেটর, ব্রি এগ্রোমেট ল্যাব।
✅ সার ব্যবস্থাপনা
✅ আগাছা নিয়ন্ত্রণ কৌশল
✅ সেচ পরিকল্পনা
✅ আবহাওয়া-ভিত্তিক ফসল চাষ পরামর্শ
✅ রোগবালাই ও পোকা-মাকড় দমন
✅ ফলন বৃদ্ধির কৌশল
সেবা গ্রহণ পদ্ধতি:
মোবাইল থেকে ০৯৬৪৪৩০০৩০০ নম্বরে কল
সপ্তাহের ৭ দিন, ২৪ ঘণ্টা
ব্রি এগ্রোমেট ল্যাবের প্রশিক্ষিত বিজ্ঞানীরা সরাসরি পরামর্শ দেবেন
ব্রি’র মহাপরিচালক ড. মো. খালেকুজ্জামান বলেন,
“ব্রি ১৯৭০ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ১২১টি ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে, যার মধ্যে ৮টি হাইব্রিড জাত। এর মধ্যে ৩৭টি জাত বৈরি পরিবেশ সহনশীল, যেমন খরা, লবণাক্ততা, বন্যা, জলাবদ্ধতা ইত্যাদি।”
তিনি আরও বলেন,
“ধান শুধু কৃষকের জীবিকা নয়, এটি আমাদের খাদ্য নিরাপত্তার ভিত্তি। চাষের প্রতিটি ধাপে সঠিক তথ্য দিতে পারলে কৃষক যেমন লাভবান হবেন, তেমনি জাতীয়ভাবে খাদ্য উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে।”
গবেষণা পরিচালক ড. রফিকুল ইসলাম বলেন,
“১৯৭১ সালে মাথাপিছু জমি ছিল ২০ শতাংশ, বর্তমানে তা ১০ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে এর মধ্যেই খাদ্য উৎপাদন ৪ গুণ বেড়েছে, যা কৃষি প্রযুক্তির সফল প্রয়োগের ফল।”
তিনি জানান, ব্রি এখন পুষ্টিসমৃদ্ধ ধানের জাত যেমন জিংক ও আয়রনসমৃদ্ধ জাত উদ্ভাবনে কাজ করছে। পাশাপাশি সংরক্ষিত রয়েছে ৯৬০০ দেশি ধানজাত, যেগুলো ভবিষ্যৎ গবেষণায় ব্যবহৃত হবে।
ড. খালেকুজ্জামান বলেন,
“শুধু কলসেন্টার নয়, আমরা আগামীতে মোবাইল অ্যাপ ও এসএমএসের মাধ্যমে কৃষকদের কাছে আবহাওয়া ও কৃষি পরামর্শ পৌঁছে দিতে চাই। এর অংশ হিসেবে ৫ বছরে ৫০,০০০ কৃষককে প্রশিক্ষণ দিয়েছি।”
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ এস এম নজরুল ইসলাম অফিসঃ ৫৬/৫৭ শরীফ ম্যানশন(৪র্থ তলা) মতিঝিল কমার্সিয়াল এলাকা,ঢাকা-১০০০ মোবাইলঃ ০১৭১৪-৩৪০৪১৭ ইমেইলঃkazialamin577@gmail@gmail.com
Copyright © 2025 দৈনিক আশুলিয়া. All rights reserved.