নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ঢাকা
(সূরা আদ্-দুহা, আয়াত ১১)
বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনচিত্রে দেখা যায় এক অতি সাধারণ অথচ মহিমান্বিত আর্থিক অবস্থা। তাঁর পিতা আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল মুত্তালিব (আ.) ইন্তেকালের সময় রেখে যান উম্মে আইমান নামে এক দাসী, পাঁচটি উট ও এক পাল বকরি। ইতিহাসবিদ ইবনে সাদ তাঁর আত-তাবকাতুল কুবরা গ্রন্থে ইমাম ওয়াকিদি (রহ.)-এর সূত্রে এ তথ্য তুলে ধরেছেন (পৃষ্ঠা-১০০)।
তাছাড়া, নবীজি (সা.)-এর পৈতৃক ভিটাও ছিল, যেখানে তাঁর পিতা-মাতা আমিনা (রা.)-এর সঙ্গে দাম্পত্য জীবন শুরু করেছিলেন। সীরাতের প্রথম ঐতিহাসিক ইবনে ইসহাক এ ঘটনা সংক্ষেপে লিপিবদ্ধ করেছেন (সিরাতে ইবনে ইসহাক, পৃষ্ঠা-৩৩)।
"পুরুষদের জন্য রয়েছে সে অংশ, যা পিতা-মাতা ও আত্মীয়স্বজন রেখে যান, এবং নারীদের জন্যও রয়েছে নির্ধারিত অংশ।"
(সূরা আন-নিসা, আয়াত ৭)
"ধনী সেই ব্যক্তি নয় যার ধন-সম্পদের আধিক্য রয়েছে, বরং প্রকৃত ধনী সে, যার অন্তর আল্লাহর ওপর পরিপূর্ণ সন্তুষ্ট।"
(সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬৪৪৬)
আল্লাহর রাসুল (সা.) কিশোর বয়সেই নিজ হাতে শ্রম দিয়ে জীবিকা অর্জন শুরু করেন। প্রথমে মক্কার মরুভূমিতে বকরিচারণ ও পরে খদিজা (রা.)-এর বাণিজ্য পরিচালনার মাধ্যমে আর্থিক সক্ষমতা গড়ে তোলেন। তাঁর সততা ও আমানতদারির কারণে মক্কার জনসাধারণ তাঁকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করে।
হজরত আয়েশা (রা.) স্মরণ করেন,
"রাসুলুল্লাহ (সা.) কখনো তিন দিন ধারাবাহিকভাবে পেট ভরে রুটি খাননি। তাঁর পরিবারও নয়। অথচ ইচ্ছা করলে তিনি পাহাড় পরিমাণ ধন-সম্পদ আহরণ করতে পারতেন।"
(সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬৪৫৮)
হজরত আলী (রা.) বলেন,
"নবীজি (সা.)'র বিছানা ছিল চামড়ার তৈরি, যার ভেতর খেজুর আঁশ ভরা ছিল।"
(সহিহ মুসলিম)
রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজেই বলেছেন:
"পার্থিব জীবনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক সেই ভ্রমণকারীর মতো, যে গাছতলায় একটু বিশ্রাম নেয়, তারপর পথ চলতে শুরু করে।"
(মুসনাদে আহমদ, হাদিস: ২৩৪৮৩)
তাঁর জীবন আমাদের শিক্ষা দেয়—আসল সম্মান আসে তাকওয়া, তাওয়াক্কুল এবং সততার মাধ্যমে, ধন-সম্পদের আধিক্যের মাধ্যমে নয়।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ এস এম নজরুল ইসলাম অফিসঃ ৫৬/৫৭ শরীফ ম্যানশন(৪র্থ তলা) মতিঝিল কমার্সিয়াল এলাকা,ঢাকা-১০০০ মোবাইলঃ ০১৭১৪-৩৪০৪১৭ ইমেইলঃkazialamin577@gmail@gmail.com
Copyright © 2025 দৈনিক আশুলিয়া. All rights reserved.