📰 দৈনিক আশুলিয়া
📅 শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫
🗂️ আন্তর্জাতিক | মধ্যপ্রাচ্য | মানবিক সংকট
🖊️ আন্তর্জাতিক ডেস্ক, দৈনিক আশুলিয়া
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার মানবিক সংকট দিন দিন তীব্রতর হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে শুক্রবার (১ আগস্ট) ছয়টি দেশ যৌথভাবে বিমান থেকে ত্রাণ ফেলে গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে। দেশগুলো হলো: ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেন, মিসর, জর্ডান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।
এই উদ্যোগের আওতায় ১২৬টি ত্রাণ প্যাকেজ গাজায় ফেলা হয়। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি গাজার ২০ লাখের বেশি মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় দৈনিক খাদ্য সহায়তার তুলনায় খুবই নগণ্য।
দখলদার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তারা ছয় দেশকে আকাশপথে খাদ্য সহায়তা ফেলতে অনুমতি দিয়েছে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে এই যৌথ মানবিক উদ্যোগে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর প্রশংসা করেন। একইসঙ্গে তিনি সতর্ক করে বলেন, “শুধু বিমান থেকে ত্রাণ ফেলা যথেষ্ট নয়। গাজায় দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে ইসরায়েলকে অবশ্যই পূর্ণ মানবিক সহায়তার প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।”
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সহায়তা সংস্থা (UNRWA)-এর প্রধান ফিলিপ লাজ্জারিনি এ বিষয়ে কড়া সমালোচনা করে বলেন, বিমান থেকে ত্রাণ ফেলা অত্যন্ত ব্যয়বহুল, ঝুঁকিপূর্ণ এবং অকার্যকর।
তার মতে, একটি ট্রাকের মাধ্যমে যে সহায়তা পৌঁছানো সম্ভব, বিমান ব্যবহার করলে তার খরচ হয় প্রায় ১০০ গুণ বেশি। এমনকি ট্রাক বিমানের তুলনায় দ্বিগুণ পরিমাণ খাদ্য পরিবহণ করতে সক্ষম।
লাজ্জারিনি এও জানান, গাজা সীমান্তে বর্তমানে ৬ হাজারের বেশি ত্রাণবাহী ট্রাক অপেক্ষায় রয়েছে। কিন্তু ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কঠোর চেকপোস্ট ও প্রবেশাধিকার না দেওয়ার কারণে এসব ট্রাক গাজায় প্রবেশ করতে পারছে না।
তিনি বলেন, “যে রাজনৈতিক সদিচ্ছা আকাশপথে ত্রাণ পাঠানোর ক্ষেত্রে রয়েছে, একইরকম সদিচ্ছা থাকলে সড়কপথ খুলে দেওয়া সম্ভব হতো।”
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এবং ত্রাণ প্রতিষ্ঠানগুলোও আকাশপথে ত্রাণ ফেলার উদ্যোগকে 'প্রতিকী' হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। তারা বলছে, গাজার মানুষের প্রকৃত সহায়তা নিশ্চিত করতে হলে অবিলম্বে স্থলপথ খুলে দেওয়া এবং প্রবেশাধিকার সহজ করতে হবে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ এস এম নজরুল ইসলাম অফিসঃ ৫৬/৫৭ শরীফ ম্যানশন(৪র্থ তলা) মতিঝিল কমার্সিয়াল এলাকা,ঢাকা-১০০০ মোবাইলঃ ০১৭১৪-৩৪০৪১৭ ইমেইলঃkazialamin577@gmail@gmail.com
Copyright © 2025 দৈনিক আশুলিয়া. All rights reserved.