দৈনিক আশুলিয়া
ধর্ম ও জীবন ডেস্ক
পবিত্র কোরআনের অসংখ্য আয়াতে কিয়ামত দিবসের বর্ণনা এসেছে। এই মহাগুরুত্বপূর্ণ দিবসকে আল্লাহ তায়ালা বিভিন্ন গুণবাচক নামে উল্লেখ করেছেন, যা দিবসটির অবস্থা ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দেয়। কোরআনে মোট ১৮টি গুণবাচক নামে কিয়ামত দিবসকে অভিহিত করা হয়েছে।
আর্তনাদ দিবস (ইয়াউমুত-তানাদ): কিয়ামতের ভীতিকর দৃশ্যে মানুষ ভয়ে চিৎকার করবে। (সুরা মুমিন, আয়াত ৩২)
প্রতিশ্রুত দিবস (ইয়াউমুল মাওউদ): আল্লাহর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এদিন পুরস্কার ও শাস্তি কার্যকর হবে। (সুরা বুরুজ, আয়াত ১-২)
সত্য দিবস (ইয়াউমুল হক): এ দিনের আগমন নিশ্চিত। (সুরা নাবা, আয়াত ৩৯)
কঠিন দিবস (ইয়াউমুন আসির): অবিশ্বাসীদের জন্য এই দিন হবে কঠিনতম। (সুরা মুদ্দাসসির, আয়াত ৯-১০)
লাভ-লোকসানের দিন: মুমিনরা উপকৃত হবে, অবিশ্বাসীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। (সুরা তাগাবুন, আয়াত ৯)
বের হওয়ার দিন (ইয়াউমুল খুরুজ): মৃতরা কবর থেকে উঠবে। (সুরা কাফ, আয়াত ৪২)
অনন্ত জীবনের দিন (ইয়াউমুল খুলুদ): জান্নাত ও জাহান্নামের চিরস্থায়ী জীবন শুরু হবে। (সুরা কাফ, আয়াত ৩৪)
শাস্তির দিন (ইয়াউমুল ওয়াইদ): অপরাধীদের শাস্তি প্রদান করা হবে। (সুরা কাফ, আয়াত ২০)
সমবেত হওয়ার দিন (ইয়াউমুল জাময়ি/ইয়াউমুন মাশহুদ): সব মানুষ ও প্রাণী একত্র হবে। (সুরা হুদ, আয়াত ১০৩)
কর্মফল দিবস (ইয়াউমুদ্দিন): প্রতিটি মানুষ তার কর্মফল পাবে। (সুরা ফাতিহা, আয়াত ৩)
আসন্ন দিন (ইয়াউমুল আজিফাহ): কিয়ামত নিকটে। (সুরা মুমিন, আয়াত ১৮)
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব গুণবাচক নাম শুধু কিয়ামত দিবসের ভয়াবহতা নয়, বরং মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত বিচার ও ন্যায়বিচারের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরে। কোরআনের এ বর্ণনা মানুষকে পরকাল সম্পর্কে সচেতন হতে এবং ন্যায়পথে চলার প্রতি উদ্বুদ্ধ করে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ এস এম নজরুল ইসলাম অফিসঃ ৫৬/৫৭ শরীফ ম্যানশন(৪র্থ তলা) মতিঝিল কমার্সিয়াল এলাকা,ঢাকা-১০০০ মোবাইলঃ ০১৭১৪-৩৪০৪১৭ ইমেইলঃkazialamin577@gmail@gmail.com
Copyright © 2025 দৈনিক আশুলিয়া. All rights reserved.