ধর্ম ডেস্ক | দৈনিক আশুলিয়া
দৈনন্দিন জীবনে মানুষ অনেক সময় অসতর্কভাবে এমন কিছু কথা বলে ফেলে, যা বলা ইসলামে অনুচিত। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) শব্দ ও বাক্যের ক্ষেত্রে ছিলেন অত্যন্ত সতর্ক। হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে, তিনি অনেক শব্দ ও বাক্য ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন, যা নৈতিকতা ও আদবের পরিপন্থী।
নবীজি (সা.)-এর অপছন্দের কিছু কথা ও নিষেধাজ্ঞা নিম্নরূপ—
১. ‘খাবুসাত নাফসি’ বলা নিষেধ — অর্থ ‘আমার চরিত্র নোংরা হয়ে গেছে’। এর পরিবর্তে ‘লাকিসাত নাফসি’ বলার উপদেশ দিয়েছেন।
২. আঙুরকে কারাম (উদারতা) বলা নিষেধ করেছেন, কারণ এটি মুমিনের গুণ নির্দেশ করে।
৩. ‘মানুষ ধ্বংস হয়ে গেছে’ বা ‘যুগ খারাপ হয়ে গেছে’ বলা অপছন্দ করতেন।
4. শিরকসদৃশ শপথ — ‘আল্লাহ যা চান’ ও ‘তুমি যা চাও’ একসাথে বলা, বা আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে শপথ নেওয়া।
৫. বাদশাহকে মালিকুল মুলক বলা, চাকরকে ‘আমার বান্দা/বান্দি’ বলা নিষেধ।
৬. বাতাস, জ্বর, মোরগকে গালি দেওয়া ও অন্ধকার যুগের স্লোগান ব্যবহার বর্জনের নির্দেশ।
৭. বংশ, গোত্র বা জাতীয়তাবাদে বিভক্তির আহ্বান নিষিদ্ধ।
৮. মুসলমানকে গালি দেওয়া এবং তিনজনের মধ্যে একজনকে বাদ দিয়ে গোপন আলাপ করা নিষেধ।
৯. নারীকে অন্য নারীর সৌন্দর্য স্বামীর কাছে বর্ণনা করা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন।
১০. দোয়ার সময় ‘ইচ্ছা করলে’ না বলে দৃঢ়ভাবে চাওয়ার নির্দেশ।
১১. বেশি শপথ করা এবং আল্লাহর চেহারার উসিলায় কিছু চাওয়া নিষিদ্ধ।
১২. মদিনাকে ইয়াসরিব বলা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন।
১৩. বিনা প্রয়োজনে কারো স্ত্রীকে প্রহার সংক্রান্ত প্রশ্ন করা নিষেধ।
১৪. ইবাদতে অহংকারপূর্ণ ঘোষণা যেমন— ‘আমি পূর্ণ রমজান রোজা রেখেছি’ বলা অপছন্দ।
১৫. জোরপূর্বক আদায়কৃত সম্পদকে হক বলা অন্যায়।
১৬. স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত সম্পর্ক প্রকাশ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
১৭. অহংকারসূচক আমি, আমার, আমার কাছে ইত্যাদি শব্দ ব্যবহারে সতর্ক থাকার নির্দেশ।
নবীজি (সা.) সতর্ক করেছেন— অহংকার ও কুদর্য বাক্য ইবলিস, ফেরাউন ও কারুনের ধ্বংসের কারণ হয়েছিল। তাই মুসলমানদের উচিত মুখ ও বাক্যের নিয়ন্ত্রণে সর্বদা সচেষ্ট থাকা।
আল্লাহ সবাইকে অপছন্দনীয় ও মন্দ বাক্য থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ এস এম নজরুল ইসলাম অফিসঃ ৫৬/৫৭ শরীফ ম্যানশন(৪র্থ তলা) মতিঝিল কমার্সিয়াল এলাকা,ঢাকা-১০০০ মোবাইলঃ ০১৭১৪-৩৪০৪১৭ ইমেইলঃkazialamin577@gmail@gmail.com
Copyright © 2025 দৈনিক আশুলিয়া. All rights reserved.