ঢাকাMonday , 15 September 2025
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. ধর্ম ও জীবন
  8. বিনোদন
  9. বিশেষ প্রতিবেদন
  10. রাজনীতি
  11. সারাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মহানবী মুহাম্মদ (সা.) — মানবজাতির জন্য চিরন্তন রহমত

দৈনিক আশুলিয়া
September 15, 2025 9:10 am
Link Copied!

দৈনিক আশুলিয়া
আপডেট: ০৯:১০, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ধর্ম ও চিন্তা ডেস্ক:
ইতিহাসের এক অন্ধকারময় সময়ে, যখন পৃথিবী ন্যায়, সাম্য ও মানবিক গুণাবলি থেকে বঞ্চিত ছিল, তখন মানবজাতির পরিত্রাতা হিসেবে আগমন করেন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন,

“আমি তো আপনাকে বিশ্বজগতের প্রতি শুধু রহমতরূপেই প্রেরণ করেছি।”
(সুরা আম্বিয়া, আয়াত: ১০৭)

আলেমরা বলেন, নবীজি (সা.) কেবল নবী হিসেবেই নয়, তাঁর সত্ত্বাগতভাবে তিনি মানবজাতির জন্য রহমত ছিলেন। তাঁর জীবন ছিল দয়া, মমতা, ভালোবাসা ও মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

মহানবী (সা.)-এর ব্যক্তিগত জীবন প্রমাণ করে তিনি সত্তাগতভাবেই মানবিক গুণাবলির প্রতীক ছিলেন। তিনি অসহায়দের সাহায্য করতেন, আত্মীয়তার সম্পর্ক দৃঢ় করতেন, প্রতিবেশীর প্রতি সদাচার করতেন, আমানত রক্ষা করতেন এবং সমাজের দুর্বলদের পাশে দাঁড়াতেন। নবুয়ত লাভের আগেই মক্কার লোকেরা তাঁকে আল-আমিন (বিশ্বস্ত)সাদিক (সত্যবাদী) নামে ডাকত।

নবুয়ত লাভের পর তাঁর দয়া ও রহমত আরও প্রসারিত হয়। তায়েফে রক্তাক্ত হওয়ার পরও তিনি তায়েফবাসীর জন্য হিদায়াতের দোয়া করেন, মক্কা বিজয়ের পর যারা তাঁকে মাতৃভূমি থেকে তাড়িয়েছিল, তাদের ক্ষমা করে দেন এবং বলেন, “আজ কোনো প্রতিশোধ নয়।”

পবিত্র কোরআন নবীজি (সা.)-এর কোমল হৃদয়ের প্রশংসা করে বলেছে,

“আল্লাহর দয়ায় তুমি তাদের প্রতি কোমল হৃদয় হয়েছিলে; যদি তুমি রূঢ় ও কঠোরচিত্ত হতে, তবে তারা তোমার আশপাশ থেকে সরে পড়ত।”
(সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৫৯)

বিদায় হজের ভাষণে তিনি ঘোষণা করেন, মানবজাতির মধ্যে কোনো জাতিগত, বর্ণগত কিংবা সামাজিক শ্রেষ্ঠত্ব নেই—শ্রেষ্ঠত্বের একমাত্র মাপকাঠি তাকওয়া। তিনি নারীদের অধিকার রক্ষার জন্য আহ্বান জানান, দাস-দাসীর প্রতি সদাচরণের নির্দেশ দেন এবং মানুষের জীবন, সম্মান ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ঘোষণা দেন।

এভাবেই মহানবী (সা.) মানবজাতিকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে এনেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন,

“তোমরা অগ্নিকুণ্ডের প্রান্তে ছিলে, আল্লাহ তা থেকে তোমাদের রক্ষা করেছেন।”
(সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ১০৩)

মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবন ও শিক্ষা আজও সমগ্র মানবজাতির জন্য শান্তি, ন্যায় ও কল্যাণের পথপ্রদর্শক।

আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে তাঁর সত্যিকার অনুসারী হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।