নিজস্ব প্রতিবেদক | ঢাকা
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদে দায়িত্ব বুঝে পাওয়ার দাবিতে টানা আটদিনের আন্দোলনের পর ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে আপাতত আন্দোলন স্থগিত করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও মেয়রপ্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকেলে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে চলমান আন্দোলনস্থলে উপস্থিত হয়ে সমর্থকদের উদ্দেশে এক বক্তব্যে ইশরাক হোসেন এই ঘোষণা দেন। তিনি বলেন,
“আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের গণতান্ত্রিক দাবি উপস্থাপন করেছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের দাবির বিষয়ে সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অন্যথায় আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হব।”
প্রসঙ্গত, ৮ দিন আগে শুরু হওয়া এই আন্দোলনের মূল দাবি ছিল—ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে বিএনপির সমর্থনে নির্বাচিত ইশরাক হোসেনকে দ্রুত দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া। আন্দোলনকারী নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক কারণে ইশরাক হোসেনকে শপথ নিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
আন্দোলনের দ্বিতীয় দিনে বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা কাকরাইল মোড়ে অনশনেও বসেন। এ সময় বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরাও আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
একইসাথে, মেয়র হিসেবে শপথ নিতে না পারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদনও করেন ইশরাক হোসেন। রিট আবেদনের শুনানি ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়,
“সংবিধান ও নির্বাচন কমিশনের বিধান অনুযায়ী, বৈধভাবে নির্বাচিত কোনো প্রতিনিধিকে শপথ গ্রহণ থেকে বিরত রাখা সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘনের শামিল।”
রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে দল ও আন্দোলনকারীরা। ৪৮ ঘণ্টার এই সময়সীমার মধ্যেই উচ্চ আদালতের রায় এবং সরকারের অবস্থান নির্ধারক হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে বলেন,
“ইশরাক হোসেন হচ্ছেন জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি। তাকে দায়িত্ব থেকে বিরত রাখার নেপথ্যে সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা কাজ করছে। আমরা চাই অবিলম্বে তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হোক।”
তিনি আরও জানান, সরকার যদি এই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সাড়া না দেয়, তবে আন্দোলনের গতি ও মাত্রা আরও তীব্র হবে।
আন্দোলন চলাকালে কাকরাইল ও আশপাশের এলাকায় পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত কোনও বড় ধরনের সংঘর্ষ বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি, তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে আন্দোলন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ আন্দোলনকারীদের দাবি যৌক্তিক মনে করলেও, কেউ কেউ নাগরিক ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে আন্দোলনের ধরন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ এস এম নজরুল ইসলাম অফিসঃ ৫৬/৫৭ শরীফ ম্যানশন(৪র্থ তলা) মতিঝিল কমার্সিয়াল এলাকা,ঢাকা-১০০০ মোবাইলঃ ০১৭১৪-৩৪০৪১৭ ইমেইলঃkazialamin577@gmail@gmail.com
Copyright © 2025 দৈনিক আশুলিয়া. All rights reserved.