নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা
দেশজুড়ে আবারও প্রকৃতির ভয়াবহ রূপ। টানা বৃষ্টিপাত, জলাবদ্ধতা ও উপকূলীয় অঞ্চলে সম্ভাব্য জলোচ্ছ্বাসের পূর্বাভাসে বিপর্যস্ত জনজীবন। উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলসহ রাজধানী ঢাকায় শুরু হয়েছে টানা বৃষ্টিপাত। এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ও চরাঞ্চলে ৪ ফুটেরও বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানান, “উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। এর প্রভাবে সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ।”
ঢাকায় বৃহস্পতিবার রাতভর বৃষ্টির কারণে বেশ কয়েকটি এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র জলাবদ্ধতা। মিরপুর, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী ও বাড্ডার মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অসংখ্য পরিবার। অফিসগামী মানুষ পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।
উপকূলীয় জেলা বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীর নিম্নাঞ্চল ইতোমধ্যেই জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। নদ-নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় স্থানীয় প্রশাসন ও সশস্ত্র বাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। জেলেদের সমুদ্রে না যেতে কড়া নির্দেশনা দিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বেশ কিছু নদ-নদীতে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। বিশেষ করে পদ্মা, মেঘনা ও কীর্তনখোলা নদী এলাকায় বন্যার সম্ভাবনা বেশি। এরই মধ্যে দুর্গত এলাকায় শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানীয় জল ও ওষুধ সরবরাহ শুরু হয়েছে।
বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো দুর্গত এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম চালাতে শুরু করেছে। সরকারের পক্ষ থেকেও জরুরি তহবিল বরাদ্দের ঘোষণা এসেছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মানুষের জানমাল রক্ষায় যা যা করা দরকার, সরকার তা করছে।”
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ এস এম নজরুল ইসলাম অফিসঃ ৫৬/৫৭ শরীফ ম্যানশন(৪র্থ তলা) মতিঝিল কমার্সিয়াল এলাকা,ঢাকা-১০০০ মোবাইলঃ ০১৭১৪-৩৪০৪১৭ ইমেইলঃkazialamin577@gmail@gmail.com
Copyright © 2025 দৈনিক আশুলিয়া. All rights reserved.