জাগপার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে জাতীয় নেতার আপসহীন অবস্থানের স্মরণ
সংবাদদাতা: নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা, বুধবার (২১ মে):
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান বলেছেন, জাগপার প্রতিষ্ঠাতা শফিউল আলম প্রধান ছিলেন ভারতীয় আগ্রাসন ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আপসহীন সংগ্রামী। ১৯৮০ সালের ৬ এপ্রিল জাগপার জন্মলগ্ন থেকে তিনি আজীবন দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার আন্দোলনে নিজেকে নিবেদিত রেখেছেন।
বুধবার (২১ মে) রাজধানীতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাগপার প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে দলের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন।
তাসমিয়া প্রধান বলেন, “ক্ষমতার লোভে দেশের অসংখ্য বড় নেতা যখন প্রকাশ্যে অথবা গোপনে ভারতকে প্রভু মেনে নতজানু অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন, তখন শফিউল আলম প্রধান ছিলেন ব্যতিক্রম। তিনি কখনও জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে আপস করেননি। বরং, স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে ভারতের আগ্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অকুতোভয়ে প্রতিবাদ করে গেছেন।”
তিনি আরও বলেন, “জাগপা শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়, এটি একটি আদর্শিক প্রতিষ্ঠান, যার ভিত্তি তৈরি হয়েছে দেশপ্রেম, জাতীয় স্বার্থ এবং বহিরাগত হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ওপর। আমাদের প্রতিষ্ঠাতা নেতার আদর্শই আমাদের পথচলার অনুপ্রেরণা।”
ভারতীয় আধিপত্যবাদ নিয়ে শফিউল আলম প্রধানের অবস্থান
সভায় বক্তারা বলেন, শফিউল আলম প্রধান ভারতের পানি নীতি, সীমান্তে হত্যা, অর্থনৈতিক নিপীড়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে স্পষ্ট এবং কঠোর অবস্থান নেন। তাঁর নেতৃত্বেই জাগপা ভারতের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে নানা আন্দোলন গড়ে তোলে। বক্তারা দাবি করেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে শফিউল আলম প্রধানের মতো নেতৃত্ব আবারও দরকার।
জাতীয় স্বার্থে আপসহীন লড়াইয়ের উদাহরণ
জাগপা সভাপতি বলেন, “শফিউল আলম প্রধানের আপসহীন লড়াই আজকের রাজনীতিবিদদের জন্য এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। যারা আজও বৈদেশিক শক্তির ইশারায় দেশ পরিচালনার স্বপ্ন দেখেন, তাদের জন্য তিনি সতর্কবার্তা।”
তাসমিয়া প্রধান আরও জানান, জাগপা ভবিষ্যতেও শফিউল আলম প্রধানের নীতিতে অনুপ্রাণিত হয়ে জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে যাবে এবং কোনো অবস্থাতেই দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে আপস করবে না।
আলোচনা সভায় অন্যদের বক্তব্য
আলোচনা সভায় জাগপার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ কামাল, ছাত্র জাগপার সভাপতি শফিকুল ইসলাম রাজু প্রমুখ বক্তৃতা করেন। তারা সকলেই শফিউল আলম প্রধানের স্মৃতিচারণ করে বলেন, তিনি ছিলেন নির্ভীক, আদর্শিক এবং সৎ একজন রাজনীতিবিদ, যাঁর জীবন কর্ম নতুন প্রজন্মের জন্য শিক্ষনীয়।