নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা:
বর্তমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা ও জাতীয় নির্বাচন ঘিরে উদ্ভূত সংকটময় পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ রবিবার (২৫ মে) সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দেশের আটটি রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসছেন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই বৈঠক হতে পারে দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নিরসনে একটি সম্ভাব্য পথ খোঁজার সূচনা।
বৈঠকে অংশ নেওয়া দলের তালিকা:
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আজকের আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন —
১. বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
২. বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)
৩. জাতীয় পার্টি
৪. গণফোরাম
৫. বিকল্পধারা বাংলাদেশ
৬. জামায়াতে ইসলামী (সীমিত প্রতিনিধি)
৭. বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)
৮. ওয়ার্কার্স পার্টি
আলোচ্য বিষয়:
বৈঠকে আলোচনার মূল এজেন্ডা হিসেবে থাকছে —
-
নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের রূপরেখা
-
অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা ও কাঠামো
-
সহিংসতা বন্ধে দলগুলোর প্রতিশ্রুতি
-
নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা ও শক্তিশালীকরণ
অধ্যাপক ইউনূসের ভূমিকা:
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে স্বীকৃত অর্থনীতিবিদ ও শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত মাসে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন। আজকের বৈঠককে তিনি “একটি নতুন রাজনৈতিক আস্থার ভিত্তি গঠনের উদ্যোগ” হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতামত:
রাজনীতি বিশ্লেষক অধ্যাপক দিলীপ সরকার মনে করেন,
“এই বৈঠকের মাধ্যমে যদি একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করার রূপরেখা তৈরি হয়, তাহলে তা দেশের জন্য ইতিবাচক হবে। তবে সব পক্ষের আন্তরিকতা জরুরি।”
নাগরিক প্রত্যাশা:
রাজধানীর মিরপুরের বাসিন্দা এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা নাজমুল হাসান বলেন,
“সারা বছর রাজনৈতিক টানাপড়েনে ভুগছি আমরা। সাধারণ মানুষের চাওয়া একটাই— একটা শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন।”
পরবর্তী পদক্ষেপ:
বৈঠকে যদি সম্মিলিত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়, তাহলে আগামী সপ্তাহেই একটি যৌথ রাজনৈতিক ঘোষণাপত্র প্রকাশ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।