নির্বাচন ঘনিয়ে আসার প্রেক্ষাপটে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন, রাজনৈতিক বিতর্ক এড়াতে পদত্যাগের আহ্বান
ঢাকা, বুধবার (২১ মে):
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা—আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়রপ্রার্থী ও বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক দীর্ঘ স্ট্যাটাসে তিনি এ দাবি জানান।
ইশরাক হোসেন তার পোস্টে বলেন, “গণতান্ত্রিক ভাষায়, রাজনৈতিক শিষ্টাচার মেনে, যৌক্তিক কারণেই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সকল দায়িত্ব থেকে পদত্যাগের আহ্বান জানাচ্ছি।”
তিনি বলেন, “এটা এখন প্রতীয়মান যে আপনারা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত। হয়তো খুব শিগগিরই সরাসরি যুক্ত হবেন এবং সম্ভাব্য প্রার্থিতাও করবেন আসন্ন নির্বাচনে। সেক্ষেত্রে আপনারা বর্তমান সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করলে স্বাভাবিকভাবেই নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।”
ইশরাক আরও লেখেন, “আমি বিশ্বাস করি, আপনারা দুজনই যুক্তিবাদী ও সচেতন মানুষ। এই মুহূর্তে পদত্যাগ করাই হবে সর্বোত্তম এবং দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত। এতে করে আপনাদের প্রতি জনসাধারণের আস্থা অটুট থাকবে এবং রাজনৈতিক বিতর্ক থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হবে।”
রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিত
বর্তমান প্রেক্ষাপটে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। একটি গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকেও বারবার নিরপেক্ষ সরকারের দাবি উঠে আসছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে যুক্ত থাকেন এবং তাঁদের ওপর নিরপেক্ষতা রক্ষা করার গুরু দায়িত্ব থাকে। তাই তাঁদের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নিয়ে তৈরি হওয়া জল্পনা নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
বিএনপির অবস্থান
বিএনপি বরাবরই নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি জানিয়ে আসছে। দলটির নেতারা বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ করে বলেছেন, বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এই প্রেক্ষাপটে ইশরাক হোসেনের এই দাবি দলটির অবস্থানেরই প্রতিফলন।
উপদেষ্টাদের প্রতিক্রিয়া
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পক্ষ থেকে ইশরাক হোসেনের মন্তব্যের বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক মহলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে এবং পরবর্তী প্রতিক্রিয়া ও পদক্ষেপের দিকে এখন সকলের দৃষ্টি।