ঢাকাSunday , 15 June 2025
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. ধর্ম ও জীবন
  8. বিনোদন
  9. বিশেষ প্রতিবেদন
  10. রাজনীতি
  11. সারাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মানবজাতির চিরশত্রু শয়তান: পবিত্র কোরআনের আলোকে সতর্কতা ও সাবধানতা

বার্তা কক্ষ
June 15, 2025 8:16 am
Link Copied!

দৈনিক আশুলিয়া
রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫ | ঢাকা | www.dainikashulia.com

ইসলামিক ডেস্ক রিপোর্ট:
মানবজাতির সৃষ্টির শুরু থেকেই শয়তান তার শত্রু। পবিত্র কোরআনের বহু আয়াতে মহান আল্লাহ শয়তানের প্রতারণা, প্ররোচনা ও শত্রুতার ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন মানুষকে। এই শত্রুতা কেবল বাহ্যিক নয়, এটি আত্মিক, নৈতিক ও আধ্যাত্মিক বিভ্রান্তির এক ভয়াবহ পথ।

আদি শত্রুতার সূচনা: অহংকার ও অবাধ্যতা

আদম (আ.)-এর সৃষ্টি যখন সম্পন্ন হয়, তখন মহান আল্লাহ ফেরেশতাদের আদেশ দেন, ‘‘আদমকে সিজদা করো।’’ ফেরেশতারা সেই নির্দেশ পালন করলেও ইবলিস—যা শয়তানের পূর্ব নাম—অহংকার ও হিংসার বশবর্তী হয়ে তা অস্বীকার করে। ফলে সে আল্লাহর রহমত থেকে চিরতরে বঞ্চিত হয়।

পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে—
“আর স্মরণ করো, যখন আমি ফেরেশতাদের বললাম, ‘আদমকে সিজদা করো।’ তখন সবাই সিজদা করল, কিন্তু ইবলিস করল না। সে অহংকার করল এবং সে ছিল কাফিরদের একজন।”
(সূরা আল-বাকারা: ৩৪)

এই অমান্যতা শুধু তার পতনের কারণই হয়নি, বরং সে আল্লাহর দরবারে প্রতিজ্ঞা করে বলে—
“আমি তাদের সামনে, পেছনে, ডান দিকে, বাম দিকে থেকে আক্রমণ করব এবং তুমি তাদের অধিকাংশকে কৃতজ্ঞ দেখতে পাবে না।”
(সূরা আরাফ: ১৭)

শয়তানের কৌশল: ধোঁকা ও বিভ্রান্তির ফাঁদ

শয়তান সরাসরি আক্রমণ করে না বরং ধাপে ধাপে, ধীরে ধীরে মানুষকে ধোঁকায় ফেলতে চায়। কখনো লোভ দেখিয়ে, কখনো ভয় দেখিয়ে, কখনো গর্ব ও গ্লানির অনুভূতির মাধ্যমে সে মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করার চেষ্টা করে।

আলেমগণ বলেন, শয়তান কখনো পাপকে সৌন্দর্যপূর্ণ করে তুলে ধরে, কখনো ন্যায়ের নাম করে অন্যায়কে গ্রহণযোগ্য করে তোলে। এই কারণে মহান আল্লাহ বারবার সতর্ক করেছেন যেন শয়তানের অনুসরণ না করা হয়।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন,
“হে মানবজাতি! শয়তান যেন তোমাদের ধোঁকা না দেয়, যেমন করে সে তোমাদের পিতা-মাতাকে জান্নাত থেকে বের করে দিয়েছিল।”
(সূরা আরাফ: ২৭)

মুক্তির পথ: আল্লাহর স্মরণ ও ইবাদতের মাধ্যমে প্রতিরক্ষা

শয়তানের ধোঁকা থেকে বাঁচতে হলে প্রয়োজন ঈমান, ধৈর্য ও আল্লাহর প্রতি পূর্ণ নির্ভরতা। নামাজ, তাওবা, কোরআন তেলাওয়াত ও জিকির—এসবই শয়তানের আক্রমণ থেকে আত্মার নিরাপত্তার ঢাল।

মাওলানা শফিকুল ইসলাম বলেন,
“যে ব্যক্তি নিয়মিত ইবাদত করে, কোরআন পড়ে এবং আল্লাহর স্মরণে থাকে, শয়তানের পক্ষে তার মনে প্রবেশ করা সহজ হয় না। আর যে আল্লাহকে ভুলে যায়, তার হৃদয়ে শয়তান আসন গেড়ে বসে।”

উপসংহার: চিরশত্রুর বিরুদ্ধে চিরসতর্কতা জরুরি

শয়তান মানবজাতির এমন এক শত্রু, যে কখনো ক্লান্ত হয় না, বরং প্রতিটি সময়, প্রতিটি সুযোগে সে মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করতে সদা প্রস্তুত। তাই পবিত্র কোরআনের নির্দেশনা অনুসারে চলা, নিয়মিত আত্মশুদ্ধি ও ইবাদতের মাধ্যমে শয়তানের প্রতারণা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা প্রত্যেক ঈমানদারের দায়িত্ব।


📌 সংবাদদাতা: হাফেজ মাহমুদুল হাসান, ইসলামিক রিপোর্টার
📞 যোগাযোগ: islam@dainikashulia.com
🌐 ওয়েব: www.dainikashulia.com