ক্রাইম রিপোর্ট:::
মোড়লগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চলছে দুর্নীতি অনিয়ম লুটপাটের মহাস্বর্গ রাজ্য ।
সরোজমিনে অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এক চাঞ্চল্য কার তথ্য, সকল দুর্নীতির প্রধান হিসেবে রয়েছেন প্রধান অফিস সহকারী কাম হিসাব রক্ষক মোঃ রেজোয়ান হোসেন মাতুব্বর
১৯৮৯ সালে প্রথম হাসপাতালে এমএলএস পদের চাকরিতে জয়েন করেন। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে পদোন্নতি হয়ে প্রধান হিসাব রক্ষক হিসেবে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘ ৮ বছর ধরে একটানা কর্মরত রয়েছেন এ সময় তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কে এক দুর্নীতির রোল মডেল হিসেবে গড়ে তুলেছেন।
তার বিরুদ্ধে ১৪ই জুন ২০০০ সালে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া সিনিয়র নার্স মিনা রানী ঠাকুর এর পরিবারের কাছ থেকে তার পেনশন,জিপি ফান্ড, জনকল্যাণ ও কল্যাণ তহবিলের সকল টাকা তুলে দেয়া বাবদ ৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।
এছাড়াও করোনা কালীন ২৪ জন স্বেচ্ছাসেবক দের সকল পাওনা টাকা তিনি আত্মসাৎ করে নেন। উল্লেখ্য ২৮শে জুন ২০২২ ইংরেজি তারিখে বাংলাদেশের সকল উপজেলায় ৮ লক্ষ ৮২ হাজার টাকা বরাদ্দ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর । উক্ত টাকা তিনি ও উপজেলা প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আত্মসাৎ করেন।
৫ই জানুয়ারি ২০২৩ সালে নিরাপত্তা প্রহরী মোঃ ইমরানুজ্জামান এর কাছ থেকে তার বেতন আটকে রাখার হুমকি দিয়ে হাতিয়ে নেন ৭০ হাজার টাকা পরবর্তীতে জানা যায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত আরো ৬ জন আউটসোর্সিং কর্মচারীর দের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন প্রায় চার লক্ষ টাকা।
আউটসোর্সিং এ কর্মরত ছয় জন দুর্নীতি দমন কমিশনার কে দরখাস্ত দিলে তাদের ভিতর দুইজনের চাকরি থেকে বরখাস্ত করে ।
একইভাবে ২৪-২৫ এর অর্থবছরে আবারো একই ভাবে অর্থ দাবি করেন হেডকেলার মাতুব্বার রেজোয়ান হোসেন উক্ত টাকা না দেওয়ার কারণে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেন শাহিনা বেগমকে ।
তার স্থানে তার নিজ মেয়ে মরিয়ম বেগমকে চাকরিতে নেওয়া হয়। তাছাড়াও রয়েছে হাসপাতালের ওষুধ বিক্রয় খাবার মান নিম্নমানের দেওয়া সহ নানা অভিযোগ।
তিনি এই আট বছরে সামান্য ২৩৫০০ টাকা বেতনে চাকরি করে পৌরসভার ভিতর চার কাঠা জমিতে একতলা ভবনের আলিশান বাড়ি,স্ত্রী কহিনুর বেগমের নামে এক বিঘা জমিতে আলিশান বাড়ি ছেলে নাঈমের নামে জমি করেছেন আলিশান বাড়ি এছাড়াও নামে বেনামে কিনেছেন বিভিন্ন স্থানে জমি।
তার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীদের এতসব দুর্নীতি করেও তিনি রয়ে গেছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
এ বিষয়ে বাগেরহাট জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সহকারি পরিচালক রাসেল রনি বলেন, হাসপাতালের নানাবিধ অনিয়ম ও খাবার পরিবেশনের ক্ষেত্রে পরিমাপ ছাড়াই দীর্ঘদিন চলে আসছে। টিকিট কাউন্টারে বেশী টাকা গ্রহনের সত্ত্যতা পাওয়া গেছে। এমনকি স্টোরে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া গেছে। হাসপাতালের সকলকে সর্তক করা হয়েছে। পরবর্তী এরকম অনিয়ম ঘটলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।