মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:।
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় পুলিশের নাকের ডগায়ই চলছে যুবলীগ নেতা রানা মিয়ার মাদক সাম্রাজ্য। স্থানীয়দের অভিযোগ, সেলবরষ ইউনিয়নের ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা রানা নিজ বাড়িতেই মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। এলাকাবাসীর কাছে তিনি এখন পরিচিত “মাদক ব্যবসায়ী রানা” নামেই।
অভিযোগ রয়েছে, রানা মিয়া পুলিশের সঙ্গে আঁতাত করেই ধর্মপাশা উপজেলার সেলবরষ ও পাইকুরাটি ইউনিয়নসহ পাশের বারহাট্টা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ৪০টি স্পটে মাদক সরবরাহ করছেন।
তার অন্যতম সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন বারহাট্টা উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের রুহুল আমিনসহ আরও অনেকে। এই চক্রের মাধ্যমে এলাকায় মদ, গাঁজা, ফেনসিডিল, হেরোইন ও ইয়াবা এখন হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে। সন্ধ্যার পর পাড়া-মহল্লা ঘুরে ফেরি করে মাদক বিক্রি করছে তাদের লোকজন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন— এ মাদক ব্যবসার পেছনে রয়েছেন কিছু প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা। এমনকি আওয়ামী যুবলীগের বেশ কয়েকজন নেতার নামও ঘুরছে অভিযোগের তালিকায়।
অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা রানা মিয়া সরাসরি হুমকি দিয়ে বলেন—
“আমার বিরুদ্ধে যে সাংবাদিক নিউজ করবে, আমি প্রয়োজনে তাকে খুন করে ফেলব। জেলে যাওয়া আমার অভ্যাস।”
সেলবরষ ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির জানান, প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় এই চক্র নিরাপদে মাদক বিক্রি করছে। এর ফলে এলাকার তরুণরা, এমনকি কিছু তরুণীও মাদকের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধও বাড়ছে দিন দিন।
অন্যদিকে, সেলবরষ ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী বলেন—
“হেরোইন, গাঁজা, ইয়াবা, ফেনসিডিলে সয়লাব হলেও প্রশাসন রহস্যজনক কারণে নিরব। মাদক নির্মূলে দ্রুত পুলিশি অভিযান চালানো প্রয়োজন।”
এ বিষয়ে ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ এনামুল হক অভিযোগ অস্বীকার করে জানান—
“মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান। মাদক কারবারি রানাকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।”