📰 দৈনিক আশুলিয়া
প্রকাশকাল: রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
প্রচ্ছদ সংবাদ
📍 নিজস্ব প্রতিবেদক:
চাঁদাবাজি ও সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন শীর্ষস্থানীয় নেতাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই অভিযোগে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস)-এর দুই নেতাকেও সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শনিবার (২৬ জুলাই) দিবাগত রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের নীতিমালা ও শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের দায়ে ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম এবং সাদাব-কে স্থায়ীভাবে সংগঠনের সকল দায়িত্ব ও পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
সংগঠনের সভাপতি রিফাত রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম এই বহিষ্কারাদেশ অনুমোদন করেন। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বহিষ্কৃতদের সঙ্গে কেউ যেন কোনো সাংগঠনিক যোগাযোগ না রাখেন।
অন্যদিকে, বাগছাসের পক্ষ থেকে পাঠানো দপ্তর সম্পাদক মাহফুজুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজির ঘটনায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপু ও আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান (রিয়াদ)-এর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে।
গঠনতন্ত্রের ধারা ৩.১ অনুযায়ী সংগঠনের ভাবমূর্তি ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার দায়ে কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার এবং সদস্য সচিব জাহিদ আহসান-এর নির্দেশনায় উক্ত দুই নেতাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।
এর আগে, শনিবার সন্ধ্যার পর রাজধানীর গুলশান ৮৩ নম্বর রোড থেকে ওই পাঁচ নেতাকর্মীকে চাঁদাবাজির অভিযোগে হাতেনাতে আটক করে পুলিশ। আটকরা হলেন—ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, মো. সাকাদাউন সিয়াম, সাদাব, জানে আলম অপু ও আব্দুর রাজ্জাক (রিয়াদ)।
গুলশান থানা পুলিশ জানায়, আটক ব্যক্তিরা নিজেদের “সমন্বয়ক” পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাঁদা দাবি করছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে এবং বর্তমানে তারা থানায় হেফাজতে রয়েছেন।
এই ঘটনায় ছাত্র সংগঠন দুটির মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া ও সংগঠনের অভ্যন্তরে ব্যাপক আলোড়নের সৃষ্টি হয়েছে।
📸 ছবি: সংগৃহীত
📞 যোগাযোগ: news@dainikashulia.com
🌐 আরও পড়ুন: www.dainikashulia.com