📰 দৈনিক আশুলিয়া
🗓️ রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
🖊️ রিপোর্টার: মোঃ আল আমিন কাজী
ঢাকা: কুমিল্লার মুরাদনগরের একটি গ্রামে বসতঘরের দরজা ভেঙে সংঘটিত ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর নিরাপত্তা ও চিকিৎসা সংক্রান্ত আদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রতিবেদন দাখিল করেছে কুমিল্লার পুলিশ সুপার (এসপি)। রোববার (২৭ জুলাই) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, ধর্ষণের শিকার নারী বর্তমানে মুরাদনগর থানার ওসির সরাসরি তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে থানার টহল দল নিয়মিতভাবে দিন ও রাতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় টহল দিচ্ছে। এ ঘটনায় মোট দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এর আগে, গত ২২ জুলাই এ সংক্রান্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন না পাওয়ায় পুলিশ সুপারকে তলব করেছিল হাইকোর্ট। তাকে আগামী ১২ আগস্ট আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুন কুমিল্লার মুরাদনগরের একটি গ্রামে এক নারীকে ঘরের দরজা ভেঙে ধর্ষণের ঘটনায় তার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই ঘটনার নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়।
নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছে আদালত। হাইকোর্ট বলেছে, “আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে ভুক্তভোগীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই হবে।”
🖋️ রিপোর্টার: মোঃ আল আমিন কাজী
📍 দৈনিক আশুলিয়া, ঢাকা