📰 দৈনিক আশুলিয়া
সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫ | রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি | www.dainikashulia.com
ভোট ১৫ সেপ্টেম্বর, সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা ছাত্রদল ও ছাত্রফ্রন্টের
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে ৩৬ বছর পর। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে এ বহুল প্রতীক্ষিত ভোট। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক আমজাদ হোসেন এ তফসিল ঘোষণা করেন।
তবে রাকসু নির্বাচন নিয়ে ইতোমধ্যে শঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট। নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
🗳 তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনের প্রধান ধাপসমূহ:
-
৩১ জুলাই: আচরণবিধি প্রকাশ
-
৬ আগস্ট: খসড়া ভোটার তালিকা
-
৭, ১০, ১২ আগস্ট: আপত্তি গ্রহণ
-
১৪ আগস্ট: চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ
-
১৭ আগস্ট: মনোনয়নপত্র বিতরণ
-
২১–২৫ আগস্ট: মনোনয়ন দাখিল
-
২৭–২৮ আগস্ট: মনোনয়ন বাছাই
-
৩১ আগস্ট: প্রার্থীদের খসড়া তালিকা
-
২ সেপ্টেম্বর: মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন
-
৪ সেপ্টেম্বর: চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা
-
১৫ সেপ্টেম্বর: ভোট গ্রহণ
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “কিছু জটিলতা থাকায় নির্ধারিত সময়ের কিছুটা পরে তফসিল ঘোষণা করতে হয়েছে। তবে নির্ধারিত সময়সীমা অনুযায়ী কমিশন কাজ সম্পন্ন করতে প্রস্তুত রয়েছে।”
✍️ সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুললো ছাত্রদল ও ছাত্রফ্রন্ট
রাকসুর এই নির্বাচনকে স্বাগত জানালেও শঙ্কা প্রকাশ করেছে ছাত্রদল ও ছাত্রফ্রন্ট।
শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী অভিযোগ করে বলেন, “এই প্রশাসন জামায়াত-শিবিরের কাছে জিম্মি। রাকসু নির্বাচনের বিষয়ে আমাদের কোনো তথ্য জানানো হয়নি। আমরা যে দাবিগুলো করেছিলাম, সেগুলো উপেক্ষিত হয়েছে।”
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল বলেন, “দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফল এই নির্বাচন। তবে প্রশাসনের প্রতি শিক্ষার্থীদের আস্থাহীনতা কাটাতে হলে ককটেল বিস্ফোরণ ও কোরআন পোড়ানোর ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে।”
📚 রাকসুর ইতিহাস
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাকসু প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬২ সালে। এরপর মাত্র ১৪টি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ নির্বাচন হয় ১৯৮৯ সালে। এরপর দীর্ঘ ৩৬ বছর পেরিয়ে গেলেও আর কোনো নির্বাচন হয়নি।
শিবিরসহ বেশ কয়েকটি সামাজিক ও প্রগতিশীল সংগঠন রাকসু নির্বাচনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। অনেকেই আশা করছেন, এই নির্বাচন নতুন প্রজন্মের নেতৃত্ব সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।