ঢাকাThursday , 14 August 2025
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. ধর্ম ও জীবন
  8. বিনোদন
  9. বিশেষ প্রতিবেদন
  10. রাজনীতি
  11. সারাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কক্সবাজারে কিশোর গ্যাংয়ের দাপট: রোহিঙ্গা কিশোরদের অংশগ্রহণে বাড়ছে অপরাধ।

বার্তা কক্ষ
August 14, 2025 8:24 am
Link Copied!

দৈনিক আশুলিয়া

কক্সবাজার প্রতিনিধি:
দেশের অন্যতম প্রধান পর্যটন শহর কক্সবাজারে কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এতে পাল্লা দিয়ে যুক্ত হচ্ছে রোহিঙ্গা কিশোরদের অংশগ্রহণ। বিশেষ করে সাগরপারের পর্যটন জোনকে কেন্দ্র করে বেড়েছে তাদের উৎপাত।

শহরের কলাতলি গোলচত্বর (ডলফিন মোড়) স্টেশন এলাকায় প্রতিদিনই অর্ধ শতাধিক রোহিঙ্গা কিশোর-কিশোরী অবস্থান নেয়। রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে দল বেঁধে তারা শহরে আসে এবং ছিনতাই, মাদক বিক্রি, পতিতাবৃত্তিসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। শুধু রোহিঙ্গা নয়, রাজধানী ঢাকা থেকেও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা কক্সবাজারে এসে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস খান জানান, সম্প্রতি কলাতলি গণপূর্ত পার্ক থেকে ১২ কিশোর অপরাধীকে আটক করা হয়েছে, যার মধ্যে ১০ জনই রোহিঙ্গা। এছাড়া ঢাকা থেকে আসা ৪ কিশোর অপরাধীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গত ২৪ জুলাই সৈকত শহরের ঝাউতলা এলাকায় সেনাবাহিনীর এক পদস্থ কর্মকর্তা দম্পতির কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথি ও মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগে ঢাকা থেকে আসা একদল কিশোরকে আটক করে পুলিশ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কক্সবাজারে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ার পর থেকে ঢাকার কিশোর গ্যাং সদস্যদের আনাগোনা বেড়ে গেছে। তারা সৈকতের সুগন্ধা, সীগাল, কবিতা চত্বরসহ নির্জন পয়েন্টগুলোতে অবস্থান নিয়ে পর্যটকদের মাদক ও পতিতা সরবরাহের ফাঁদে ফেলে সর্বস্ব লুটে নিচ্ছে।

রোহিঙ্গা কিশোররা শুধু স্থানীয়দের সঙ্গেই নয়, নিজেদের মধ্যেও দল বেঁধে অপরাধে জড়াচ্ছে। তাদের অধিকাংশই মাদকাসক্ত। কলাতলি এলাকায় টায়ার-টিউব বিক্রির দোকান থেকে তারা সলিউশন (গাম) কিনে নেশা করে। প্রতিটি কৌটা ৮০-১০০ টাকায় কিনে ৪-৫ জন মিলে পলিথিনের সাহায্যে ঘ্রাণ নিয়ে নেশা করে।

পথশিশুদের নিয়ে কাজ করা স্থানীয় সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী ওমর ফারুক হিরু বলেন, এসব কিশোর অপরাধী নয়, বরং সমাজের কিছু মানুষ তাদের অপরাধের পথে ঠেলে দিয়েছে। তিনি সরকারের সমাজসেবা অধিদপ্তর ও বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতায় বহু কিশোরকে মাদক ও অপরাধ থেকে ফিরিয়ে এনেছেন।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ জানান, গত কয়েক মাসে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে অন্তত ২৬ জন কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি পর্যটন নগরীতে কিশোর অপরাধ দমনে কঠোর নজরদারি ও নিয়মিত অভিযান চালানোর আশ্বাস দেন।