দৈনিক আশুলিয়া
প্রকাশ: ০২:১৩, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জন এফ. কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেনের ওপর ডিম নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। একই সঙ্গে এনসিপির নেতা তাসনিম জারাকেও অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও শারীরিকভাবে আক্রমণ করা হয়। ঘটনাটি ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।
এ ঘটনার পরপরই এনসিপি এক বিবৃতিতে আখতার হোসেন ও তাসনিম জারার ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানায়। দলটির নেতারা বলেন, এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা রাজনৈতিক সহনশীলতার পরিপন্থী এবং গণতান্ত্রিক চর্চার জন্য হুমকিস্বরূপ।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনুভা জাবীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন,
“রাজনীতিতে আসার পর থেকে আমরা নারীরা হেন কোনো গালি নাই শুনি নাই, হেন কোনো সাইবার বুলিং নাই যার মধ্যে দিয়ে যাই নাই। কিন্তু আজকে নিউইয়র্কে জারাকে যে অকথ্য ভাষায় আক্রমণ করা হল, আখতারের ওপর হামলা হলো, তা বাংলাদেশ সরকারের সফরসঙ্গী হিসেবে এর চেয়ে নিন্দনীয় কিছু হতে পারে না।”
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে তাজনুভা লেখেন,
“অন্তর্বর্তী সরকারকে এর জবাব দিতে হবে। কেন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিরাপত্তা দিতে পারল না? কেন একমাত্র নারী রাজনৈতিক প্রতিনিধিকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হলো? মুখে নারী নারী বলে বড়াই করে, অথচ বাস্তবে নারীকেই আক্রমণের মুখে ফেলে রেখে চলে গেছে। সরকারের ক্ষমা চাইতে হবে, জারার কাছেও প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।”
তাজনুভা জোর দিয়ে বলেন,
“আখতার শুধু এনসিপির নেতা নন, তিনি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জীবন্ত প্রতীক। যার অবদানে হাসিনা বিদায় নিয়েছে, যার সংগ্রামে আজকের এই সরকার এসেছে, তাকেই যদি নিরাপত্তা দেওয়া না হয়—এটা সরকারের ব্যর্থতা। এই হামলার দায় অবশ্যই সরকারকে নিতে হবে। বাকিটা এনসিপি রাজপথে বুঝে নেবে।”
ঘটনার পর নিউইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ধরনের হামলার নিন্দা জানিয়ে রাজনৈতিক সহনশীলতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।