ঢাকাSaturday , 31 May 2025
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. ধর্ম ও জীবন
  8. বিনোদন
  9. বিশেষ প্রতিবেদন
  10. রাজনীতি
  11. সারাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মিয়ানমারে আরাকান আর্মির হামলায় শীর্ষ জান্তা জেনারেল নিহত

Link Copied!

কৌশলগত কিয়াউকফিউ বন্দর ঘিরে তীব্র সংঘর্ষ, বিদ্রোহীদের দখলে একাধিক সামরিক ঘাঁটি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত বন্দর কিয়াউকফিউ ঘিরে চীনা বিনিয়োগ কেন্দ্রের দখল নিতে আসা মিয়ানমার জান্তা বাহিনী ও আরাকান আর্মি (এএ)-র মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন দেশটির এক শীর্ষ জান্তা জেনারেল।

স্থানীয় সূত্র ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর বরাতে জানা গেছে, নিহত জেনারেল হচ্ছেন মেজর জেনারেল সো মিন থেইক, যিনি পশ্চিমাঞ্চলীয় সামরিক কমান্ডের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি বৃহস্পতিবার রাতে কিয়াউকফিউ বন্দরের কাছে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় সংঘর্ষের সময় বিদ্রোহীদের চালানো মর্টার হামলায় নিহত হন।

কৌশলগত বন্দর ঘিরে উত্তেজনা
চীনের মাল্টিবিলিয়ন ডলারের চীন-মিয়ানমার ইকোনমিক করিডরের (CMEC) অন্যতম প্রধান কেন্দ্র কিয়াউকফিউ গভীর সমুদ্রবন্দর। অঞ্চলটি শুধু মিয়ানমার নয়, গোটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভূরাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই বন্দর ঘিরেই সম্প্রতি বিদ্রোহী আরাকান আর্মি এবং জান্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের মাত্রা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

দখলদারি বিস্তার করছে বিদ্রোহীরা
আরাকান আর্মির মুখপাত্র এক বিবৃতিতে দাবি করেন, “আমরা কিয়াউকফিউর উপকণ্ঠে জান্তা বাহিনীর একাধিক সামরিক ঘাঁটি দখল করেছি। স্থানীয়দের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

তবে মিয়ানমার সেনাবাহিনী এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জেনারেলের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত না করলেও সামরিক সূত্র বলছে, রাখাইনে বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে তারা।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও উদ্বেগ
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমগুলোতে বন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, কিয়াউকফিউতে চীনা অর্থনৈতিক স্বার্থে আঘাত লাগলে তা আঞ্চলিক রাজনীতিতে উত্তেজনা বাড়াতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা HRW এক বিবৃতিতে জানায়, “রাখাইনে সংঘর্ষ নতুন মাত্রা নিচ্ছে। সাধারণ নাগরিকরা প্রতিনিয়ত জীবন হারাচ্ছেন ও বাস্তুচ্যুত হচ্ছেন।”

স্থানীয় জনজীবন বিপর্যস্ত
কিয়াউকফিউ শহরের বাসিন্দা মং হ্লা থু টেলিফোনে জানিয়েছেন, “সারা শহরজুড়ে গোলাগুলির শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বহু পরিবার নিরাপদ স্থানে পালিয়েছে। দোকানপাট বন্ধ, বিদ্যুৎ নেই, ইন্টারনেটও বিচ্ছিন্ন।”

পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো
জাতিসংঘের মিয়ানমার মিশন রাখাইন পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছে। একইসাথে জরুরি সহায়তা পাঠানোর আহ্বান জানানো হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি।