ক্রীড়া প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচিত নতুন কমিটি গত বছরের অক্টোবর মাসে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। পুরনো ও নতুন সংগঠকদের সমন্বয়ে গঠিত এই কমিটি ফুটবলের উন্নয়নে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। তবে কেবল দায়িত্ব গ্রহণই যথেষ্ট নয়—ফুটবল ঘিরে একটি বড় স্বপ্ন রয়েছে, যার শাখা-প্রশাখা এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি বিস্তৃত।
দেশের ফুটবল অঙ্গনে ধীরে ধীরে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। ফুটবল এখন শুধুই খেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই; এটি হয়ে উঠেছে জাতীয় আত্মপরিচয়ের একটি শক্তিশালী মাধ্যম। ফুটবলপ্রেমীরা আশা করছেন, ঐকমত্যের ভিত্তিতে সম্মিলিতভাবে এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে সবাই হাঁটবে।
তবে এই পথচলা খুব সহজ নয়। অতীতে ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থে হিংসা, বিরোধিতা, অযৌক্তিক সমালোচনা এবং অসত্য প্রচারণা ফুটবলের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করেছে। সেসব অভিজ্ঞতা নতুন করে যেন আর না আসে, সেই শিক্ষা থেকেই সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
ফুটবল সংশ্লিষ্টদের এখন প্রয়োজন বাস্তবতা বিবেচনায় সমন্বিত চিন্তা ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। দায়িত্বশীল আচরণ, সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব এবং গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমেই জাতীয় ফুটবলকে কাঙ্ক্ষিত উচ্চতায় নেওয়া সম্ভব।
একজন অভিজ্ঞ সংগঠক বলেন, “এখন আর খাল কেটে কুমির আনার সময় নয়। আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত—স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।”