বিশেষ প্রতিবেদক
বর্তমান বৈশ্বিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে শান্তি ও সংলাপের বার্তা হয়ে ওঠেছে আরও গুরুত্বপূর্ণ। পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে স্পষ্টভাবে দেখা যায়, ইসলাম শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও সন্ধির পথেই অগ্রসর হওয়ার শিক্ষা দেয়। যুদ্ধ কেবল তখনই অনুমোদিত, যখন মুসলমানদের জীবন ও ধর্ম চরমভাবে হুমকির মুখে পড়ে।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে,
“আর যদি তারা সন্ধির প্রতি ঝুঁকে পড়ে, তাহলে তুমিও তার প্রতি ঝুঁকে পড়, আর আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল কর। নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।”
(সুরা আনফাল, আয়াত: ৬১)
এই আয়াতে মুসলমানদের উদ্দেশে স্পষ্টভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, শত্রুপক্ষ যদি শান্তির ইচ্ছা প্রকাশ করে, তবে সেই শান্তির পথে এগিয়ে যাওয়া ইসলামী নীতির অংশ। ইসলাম যুদ্ধকে কখনোই প্রাথমিক সমাধান হিসেবে বিবেচনা করেনি, বরং শান্তি, সংলাপ এবং সহনশীলতা ইসলামি দর্শনের মূল ভিত্তি।
হাদিসের আলোকে শান্তির দৃষ্টান্ত
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনে বহুবার দেখা গেছে, তিনি যুদ্ধ এড়িয়ে শান্তির পথে চলেছেন। হুদায়বিয়ার সন্ধি ছিল তার অন্যতম শ্রেষ্ঠ উদাহরণ, যেখানে একতরফা কিছু কঠিন শর্ত থাকা সত্ত্বেও রাসুলুল্লাহ (সা.) তা মেনে নিয়ে ভবিষ্যতের বৃহৎ কল্যাণের জন্য শান্তির পথ বেছে নেন।
“যে ব্যক্তি মানুষের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে, সে-ই প্রকৃত মুমিন।”
(সুনান তিরমিজি)
বর্তমান প্রেক্ষাপটে ইসলামের শান্তির বার্তা
বর্তমান সময়ের রাজনৈতিক ও সামরিক উত্তেজনার মাঝে ইসলাম আমাদের শেখায় ধৈর্য ও যুক্তিসঙ্গত আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান খোঁজার উপায়। ইসলামের এই নীতিমালাগুলো বিশ্বকে আজও শান্তির পথে ফিরিয়ে আনার শক্তি রাখে।
🕌 আজকের ইসলামি ভাবনা কলামে:
➡️ “সন্ধির আয়াত: যুদ্ধ নয়, ইসলাম চায় শান্তি”
➡️ “রাসুল (সা.)-এর কূটনৈতিক চুক্তিগুলোর শিক্ষা আমাদের জন্য কী?”