মক্কা (ডেস্ক রিপোর্ট)
সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদের ব্যক্তিগত আমন্ত্রণে এবছর হজে বিশ্বের ১০০টি দেশের ১ হাজার ৩০০ জন মুসল্লি বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করবেন। দুই পবিত্র মসজিদের অভিভাবক হিসেবে বাদশাহ তাঁর নেতৃত্বে সৌদি সরকার এই আয়োজনের নির্দেশনা দিয়েছেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ
সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও দু’টি পবিত্র মসজিদের ইমাম, আর রুমান বাহরাইন সৌদি সাংবাদিকদের জানান, “আমাদের নেতার নির্দেশমাফিক, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত হজযাত্রীদের আরাম এবং নিরাপত্তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পেয়েছে। এই বিশেষ আমন্ত্রণের মাধ্যমে সাহাবিজীবনী অনুকরণে ধর্মীয় সৌহার্দ্য ও আন্তর্জাতিক ঐক্যকে আরও দৃঢ় করা হবে।”
হজ ব্যবস্থাপনায় নতুন সংযোজন
সৌদি সরকারের তত্ত্বাবধানে এবার হজের জন্য নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থাসমূহ:
-
বিশেষ ফ্লাইট সার্ভিস: ১০০টি দেশের উদ্দেশে নিয়মিত এবং চার্টার ফ্লাইট পরিচালনা।
-
ডেডিকেটেড বাস সার্ভিস: মিনা, আরাফাত ও মোকররমায় যাত্রীদের সুবিধার্থে দ্রুত পরিবহণ ব্যবস্থা।
-
স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা: প্রতিদিন করোনা টেস্ট, থার্মাল স্ক্যানার, এবং মেডিক্যাল টিম স্থাপন।
-
ধর্মীয় শিক্ষা: আরাফাতের খুতবায় সকলের জন্য উন্নত অনুবাদ সহ সিসিটিভি স্ক্রিনে প্রদর্শন।
-
সাংস্কৃতিক বিনিময়: বিশ্বসেরা ইসলামি বিদ্বানদের ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও সেমিনার।
দুই পবিত্র মসজিদের অভিভাবকের দৃঢ় দৃষ্টি
সৌদি বাদশাহ দুই পবিত্র মসজিদের অভিভাবক হিসেবে নিজেই হজ ব্যবস্থাপনার সার্বিক তদারকি করবেন বলে খবর। তাঁর নির্দেশনায়:
-
ইমিগ্রেশন সহজীকরণ: স্বয়ংক্রিয় বায়োমেট্রিক গেটের মাধ্যমে তীব্র গতি।
-
তাজিয়া ও ফিডব্যাক সেন্টার: প্রত্যেক হজযাত্রীর মতামত ও পরামর্শ নেওয়ার ব্যবস্থা।
-
পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ: প্লাস্টিকমুক্ত রাস্তাঘাট, জলসংরক্ষণ এবং সৌরচালিত আলো–গ্যাস লাইট।
মন্তব্য
মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববীর খতিব শায়খ মুহাম্মদ আল-হুসাইনী বলেন, “এটি শুধুমাত্র সৌদি সরকারের উদ্যোগ নয়, বরং ইথাদ (ঐক্য) ও উম্মাহর মধ্যে দৃঢ় বন্ধনের প্রতিফলন। মানবতার সেবাই আমাদের মহান লক্ষ্য।”
সম্মিলিত প্রস্তুতি
হজ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, আল্লাহর রহমতে এ বছর ১০ মিলিয়নেরও বেশি অর্গানাইজড হজযাত্রী উপস্থিত থাকতে পারেন। এদের মধ্যে সৌদি সরকারের আমন্ত্রণপ্রাপ্ত ১ হাজার ৩০০ মুসল্লি সবচেয়ে সম্মানিত অতিথি হিসেবে সু-ব্যবস্থা উপভোগ করবেন।
সংক্ষেপে:
বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজের নেতৃত্বে সৌদি সরকার এ বছর হজযাত্রীদের জন্য ব্যাপক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা ও ধর্মীয় সহায়তার ব্যবস্থা করেছে। ১০০টি দেশের ১ হাজার ৩০০ মুসল্লি ‘বিশেষ অতিথি’ হিসেবে অংশগ্রহণ করবেন, যা বিশ্বমুসলিম উম্মাহর ঐক্য প্রদর্শনের এক মহাপুরুষ্কার প্রয়াস।