ঢাকাSaturday , 24 May 2025
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. ধর্ম ও জীবন
  8. বিনোদন
  9. বিশেষ প্রতিবেদন
  10. রাজনীতি
  11. সারাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে যমুনায় বৈঠকে বসছে বিএনপি ও জামায়াত শনিবার সন্ধ্যায় রাজনৈতিক সংলাপের উদ্যোগ প্রধান উপদেষ্টার

Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক
চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের লক্ষ্যে নতুন এক উদ্যোগ নিয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আগামী শনিবার (২৪ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর যমুনা ভবনে পৃথক বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন তিনি দেশের দুই শীর্ষ রাজনৈতিক দল—বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দের সঙ্গে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে বিএনপি এবং রাত ৮টায় জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।


রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের চেষ্টায় প্রধান উপদেষ্টা

দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও চলমান সংকটময় পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে জাতীয় ঐক্য ও রাজনৈতিক সংলাপের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি মনে করছেন, দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আস্থার সংকট দূর না হলে দেশে স্থিতিশীল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা কঠিন হবে।

এই লক্ষ্যেই তিনি যমুনা ভবনে বৈঠকের এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তাঁর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, এটি হবে একটি “অরাজনৈতিক আলোচনামূলক বৈঠক”, যার উদ্দেশ্য রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত শোনা ও সম্ভাব্য সমঝোতার ভিত্তি তৈরি করা।


বৈঠকের এজেন্ডা কী?

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয় হতে পারে—

  • দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি

  • আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে দলগুলোর অবস্থান

  • নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথনকশা

  • আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও মানবাধিকার

তবে কোন দল কী আলোচনা করবে, সে বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি সংশ্লিষ্টরা।


বিএনপি ও জামায়াত কী বলছে?

বিএনপির একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা গণমাধ্যমকে জানান, “আমরা প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণকে সম্মান জানাচ্ছি। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিনিধি দল বৈঠকে যোগ দেবে এবং আমাদের অবস্থান তুলে ধরা হবে।”

জামায়াতে ইসলামীর একজন কেন্দ্রীয় নেতা জানান, “প্রধান উপদেষ্টার এই উদ্যোগকে আমরা ইতিবাচকভাবে দেখছি। সংলাপের মাধ্যমে দেশের সংকট নিরসনের পথ খুঁজে বের করা উচিত।”


ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শান্তিতে নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ ইতোমধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারমূলক উদ্যোগ নিয়েছেন, যার মধ্যে রাজনীতিতে আলোচনার সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অন্যতম।


বিশ্লেষকদের দৃষ্টিতে

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সংলাপ রাজনৈতিক সংকট নিরসনের পথে একটি সম্ভাবনাময় সূচনা হতে পারে। তবে বাস্তব অগ্রগতি নির্ভর করবে দলগুলোর সদিচ্ছা ও আন্তরিকতার ওপর।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রাশেদ মাহমুদ বলেন,
“ড. ইউনূস নিজে যে আস্থার প্রতীক, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে একবারের বৈঠকে ফল আসবে না, ধারাবাহিক সংলাপের প্রয়োজন।”


উপসংহার:
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে যমুনায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে রাজনৈতিক সংলাপ নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। দেশজুড়ে চলমান অনিশ্চয়তা ও রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে এই সংলাপ নতুন আশার আলো দেখাতে পারে— যদি দলগুলো প্রকৃত অর্থে সমঝোতায় আগ্রহী হয়।

👉 এবার কি বদলাবে দেশের রাজনৈতিক সমীকরণ? নজর এখন যমুনার শনিবার সন্ধ্যার দিকে।