স্থানীয় রাজনীতিতে বাংলাদেশি কমিউনিটির গর্বিত অধ্যায় যুক্ত হলো নতুন উচ্চতায়
সম্পাদনা: আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা
ম্যানচেস্টার, ২১ মে:
ইংল্যান্ডের টেমসসাইড কাউন্সিলে এক অনন্য ইতিহাস গড়েছেন কাউন্সিলর শিবলী আলম। তিনি প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে কাউন্সিলটির মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। শুধু টেমসসাইডেই নয়, বরং পুরো উত্তর ইংল্যান্ড অঞ্চলের ইতিহাসে এটাই প্রথম কোনো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারীর স্থানীয় সরকারপ্রধান হওয়ার ঘটনা।
গত ২০ মে (সোমবার) ম্যানচেস্টারের ডুকিনফিল্ড টাউন হলে আয়োজিত এক জমকালো আনুষ্ঠানিকতায় তাঁকে টেমসসাইড কাউন্সিলের ৫০তম নাগরিক মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণ করানো হয়।
এই অনন্য অর্জনের মাধ্যমে শিবলী আলম যেমন নিজেকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেলেন, তেমনি প্রবাসী বাংলাদেশি নারীদের জন্যও খুলে দিলেন সম্ভাবনার এক নতুন দুয়ার।
একটি প্রজন্মের অনুপ্রেরণা
শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে মেয়র শিবলী আলম বলেন, “আমি আজ গর্বিত এবং আবেগাপ্লুত। একজন বাংলাদেশি, একজন মুসলিম নারী হিসেবে এই দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারা আমার জীবনের অন্যতম গর্বের মুহূর্ত। আমি এই সুযোগকে ব্যবহার করতে চাই কমিউনিটির সকল মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য। বিশেষ করে নারীদের অংশগ্রহণ আরও বাড়াতে কাজ করব।”
তিনি আরও বলেন, “আমার এই অর্জন শুধুই ব্যক্তিগত নয়, এটি আমাদের পুরো কমিউনিটির সম্মিলিত বিজয়।”
প্রবাসে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব
শিবলী আলমের এই অর্জনকে অভিবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে। যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশিদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ বাড়লেও, শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বে নারীদের উপস্থিতি এতদিন ছিল অত্যন্ত সীমিত। তাঁর নির্বাচিত হওয়া সেই সীমাবদ্ধতা ভাঙারই এক সাহসী দৃষ্টান্ত।
কমিউনিটির অভিমত
স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশি নেতারা বলেছেন, “শিবলী আলমের এই সাফল্য আমাদের সবাইকে গর্বিত করেছে। তিনি নতুন প্রজন্মের মেয়েদের জন্য একটি রোল মডেল হয়ে উঠবেন।”
টেমসসাইড কাউন্সিল ও মেয়রের ভূমিকা
টেমসসাইড কাউন্সিল গ্রেটার ম্যানচেস্টারের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক অঞ্চল। কাউন্সিল মেয়রের দায়িত্ব মূলত আচার-অনুষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেওয়া হলেও স্থানীয় সরকারের নীতি ও ভাবমূর্তি প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদ।
শিবলী আলমের মতো একজন অভিজ্ঞ ও সামাজিকভাবে সক্রিয় নেত্রীর দায়িত্ব গ্রহণে আশা করা হচ্ছে, কমিউনিটি আরও সুসংহত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে।