‘সারগর্ভ, খোলামেলা ও ফলপ্রসূ’ বলছে ক্রেমলিন
আলোচনায় উঠে এসেছে নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও ভূরাজনীতি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন-এর মধ্যে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দীর্ঘ দুই ঘণ্টার টেলিফোন আলাপ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জোর চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
বিশ্বের প্রভাবশালী দুই নেতার এই আলোচনাকে ঘিরে রাজনৈতিক বিশ্লেষক, কূটনীতিক ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা নানান ব্যাখ্যা দিচ্ছেন।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন এই আলোচনাকে “সারগর্ভ, খোলামেলা এবং অত্যন্ত ফলপ্রসূ” বলে উল্লেখ করেছেন। ফোনালাপের পর রুশ প্রেসিডেন্টের দপ্তর ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে জানায়, দুই নেতা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা, অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, বাণিজ্যিক সম্পর্ক পুনঃগঠন এবং ইউরোপ-এশিয়া অঞ্চলের ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
নতুন করে ঘনিষ্ঠতা?
বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কে যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল, এই ফোনালাপ ট্রাম্প-পুতিন সম্পর্কের এক নতুন ধারা সূচিত করতে পারে। বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ট্রাম্পের প্রভাব এবং সম্ভাব্য নির্বাচনী প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে এই সংলাপ তাৎপর্যপূর্ণ।
চীনের প্রসঙ্গেও আলোচনা
ক্রেমলিন সূত্রে আরও জানা গেছে, ফোনালাপে চীনের সঙ্গে বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রতিযোগিতা, ইউক্রেন সংকট, ন্যাটোর সম্প্রসারণ এবং মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতি সম্পর্কেও মতবিনিময় হয়েছে। উভয় পক্ষই “পারস্পরিক স্বার্থ বজায় রেখে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদারের” প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ওয়াশিংটনের প্রতিক্রিয়া সংযত
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। তবে হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র বলেন, “আলোচনা হয়েছে নেতাদের ব্যক্তিগত পর্যায়ে, যার মধ্যে আমরা এখনই কোনো কূটনৈতিক রূপরেখা আঁকছি না।”
বিশেষজ্ঞ মতামত:
বিশ্ব রাজনীতি বিশ্লেষক ড. সামিরা হক বলেন,
“এই আলোচনার সময় ও প্রেক্ষাপট অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বিশ্বব্যাপী শক্তির ভারসাম্য যখন নতুন রূপ নিচ্ছে, তখন ট্রাম্প-পুতিন যোগাযোগ নতুন সমীকরণ সৃষ্টি করতে পারে।”