নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর দেশের ছয়টি অঞ্চলের নদীবন্দরে ২ নম্বর নৌ-সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে। এছাড়া অন্যান্য এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এই সতর্কতা জারি করা হয়।
আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়, অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়া এবং বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কারণে নদীবন্দরগুলোকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। দেশের ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ নদীবন্দরে মাঝারি ধরনের ঝুঁকি থাকায় ২ নম্বর সংকেত এবং অন্যান্য অঞ্চলে স্বাভাবিক সতর্কতা হিসেবে ১ নম্বর সংকেত দেওয়া হয়েছে।
যেসব অঞ্চলে ২ নম্বর সংকেত
২ নম্বর নৌ-সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে নিম্নলিখিত নদীবন্দরগুলোতে:
-
চাঁদপুর
-
বরিশাল
-
পটুয়াখালী
-
খুলনা
-
ভোলা
-
কুমিল্লা
এইসব অঞ্চলে ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ী দমকা হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। নদী ও জলপথে চলাচলকারী নৌযানগুলোকে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১ নম্বর সংকেত বাকি অঞ্চলে
দেশের অন্যান্য নদীবন্দর যেমন নারায়ণগঞ্জ, মাওয়া, রাজশাহী, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, নেত্রকোনা, সিলেটসহ বেশিরভাগ অঞ্চলে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। এসব এলাকাতেও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তবে ঝুঁকি অপেক্ষাকৃত কম।
জলপথে চলাচলে সতর্ক বার্তা
আবহাওয়া অধিদফতরের এক কর্মকর্তা বলেন, “মৌসুমি লঘুচাপ এবং আর্দ্রতা বৃদ্ধির কারণে বজ্রবৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। নদীপথে চলাচলরত ছোট ও মাঝারি আকারের নৌযানগুলোকে সাবধানতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হচ্ছে।”
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্রে জানা গেছে, পরিস্থিতি বিবেচনায় কিছু কিছু রুটে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধও রাখা হতে পারে।
জেলে ও কৃষকদের জন্য বার্তা
উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেদেরকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত গভীর নদীতে না যেতে অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া কৃষকদের ক্ষেত ও ফসল রক্ষায় আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
উপসংহার
বিগত কয়েকদিনের গরমের পর দেশে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে এ সময় বজ্রপাত ও ঝড়ো হাওয়া বেড়ে যাওয়ায় জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এ ধরনের হঠাৎ আবহাওয়া বৈচিত্র্য আরও বেড়ে যেতে পারে, তাই দীর্ঘমেয়াদে সচেতনতা ও প্রস্তুতির ওপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।