ঢাকাFriday , 23 May 2025
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. ধর্ম ও জীবন
  8. বিনোদন
  9. বিশেষ প্রতিবেদন
  10. রাজনীতি
  11. সারাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

৩১ মে’র আলটিমেটাম: সচিবালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি ‘জুলাই ঐক্য’র

Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক:
আগামী ৩১ মে’র মধ্যে সচিবালয় থেকে ফ্যাসিবাদের সকল দোসরকে অপসারণ না করলে ঢাকায় সচিবালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণকারী ৮০টি সংগঠনের ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম ‘জুলাই ঐক্য’। বুধবার (২২ মে) এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই হুঁশিয়ারি দেন সংগঠনের মুখপাত্ররা।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, “বর্তমান প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে এখনো ফ্যাসিবাদী সরকারের অনুগত আমলারা অবস্থান করছে। তারা অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ডকে নানাভাবে ব্যাহত করছে। জনগণের রক্তে অর্জিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপান্তর প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করতে এরা সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।”

‘জুলাই ঐক্য’র মুখপাত্র ও সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা জহিরুল হক মৃধা বলেন, “আমরা সরকারের প্রতি স্পষ্ট করে দিতে চাই—এই ফ্যাসিবাদী দোসরদের অপসারণে যদি ব্যর্থ হন, তাহলে ৩১ মে’র পর দেশের সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সচিবালয় ঘেরাও করব। কোনো অশুভ শক্তিকে আর যেন রাষ্ট্রযন্ত্রে জায়গা না দেওয়া হয়, সেই দাবি নিয়েই আমরা রাস্তায় নামব।”

এ সময় ‘জুলাই ঐক্য’র পক্ষ থেকে ৫ দফা দাবিও তুলে ধরা হয়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

  • প্রশাসনে থাকা অতীত সরকারের অনুগত আমলাদের অপসারণ

  • অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আমলাতান্ত্রিক বাধা অপসারণ

  • গণবিরোধী নীতির প্রতিবাদে সাংবিধানিক সংস্কার

  • জুলাই অভ্যুত্থানকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা

  • ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের ঘোষণা সরকারের উপর জনচাপ সৃষ্টি করবে। বিশেষ করে যখন সরকার অন্তর্বর্তী কাঠামোর মধ্য দিয়ে স্থিতিশীলতার চেষ্টা করছে, তখন এই আহ্বান প্রশাসনিক কাঠামো পুনর্গঠনের দাবি আরও জোরালো করল।

বিশ্লেষক ড. নাজনীন আরা বলেন, “এটি শুধু একটি রাজনৈতিক দাবিই নয়, বরং একটি প্রতীকী প্রতিরোধ। প্রশাসনের ভেতরে থাকা বিশ্বাসযোগ্যতা সংকট দূর করতে সরকারকে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।”

প্রসঙ্গত, গত বছর জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার সম্মিলিত অভ্যুত্থানে তৎকালীন ক্ষমতাসীন সরকারের পতন ঘটে। ওই আন্দোলনের চেতনা থেকে গড়ে ওঠে ‘জুলাই ঐক্য’।

এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে প্রশাসন সংশ্লিষ্ট এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, “সরকার জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে চলছে এবং প্রশাসনে শুদ্ধাচার ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”