ঢাকাThursday , 22 May 2025
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. ধর্ম ও জীবন
  8. বিনোদন
  9. বিশেষ প্রতিবেদন
  10. রাজনীতি
  11. সারাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মেরাদিয়া ও আফতাবনগরে কোরবানির হাট বসানোর নিষেধাজ্ঞা বহাল

Link Copied!

হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত হয়নি | চেম্বার আদালতের ‘নো অর্ডার’

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজধানীর মেরাদিয়া ও আফতাবনগর আবাসিক এলাকায় কোরবানির পশুর হাট বসানোর ওপর হাইকোর্ট যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল, তা বহাল থাকল। ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে করা আবেদন গ্রহণ না করে ‘নো অর্ডার’ দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এর ফলে আসন্ন ঈদুল আজহায় এই দুই এলাকায় কোনো পশুর হাট বসানো যাবে না।

গতকাল বুধবার আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. রেজাউল হকের চেম্বার আদালত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের করা আবেদনের ওপর শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। ফলে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশই বলবৎ থাকছে।

উল্লেখ্য, এর আগে পরিবেশদূষণ, জনদুর্ভোগ ও আবাসিক এলাকার নিয়মভঙ্গের অভিযোগ তুলে মেরাদিয়া ও আফতাবনগরে পশুর হাট বসানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একাধিক আবাসিক নাগরিক ফোরাম হাইকোর্টে রিট দায়ের করে। সেই রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট এসব এলাকায় কোরবানির পশুর হাট না বসানোর নির্দেশ দেয়।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে, যাতে বলা হয়, বিকল্প জায়গার অভাব এবং অর্থনৈতিক দিক বিবেচনায় মেরাদিয়া ও আফতাবনগর হাট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে আদালত সে আবেদন আমলে না নিয়ে ‘নো অর্ডার’ দেয়, অর্থাৎ আদেশ না দিয়ে আবেদন নিষ্পত্তি করেন।

সংশ্লিষ্ট প্রতিক্রিয়া:

আবেদনের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, “এই হাটগুলো রাজধানীর বৃহৎ পশুর বাজারগুলোর অন্যতম। এখান থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ পশু ক্রয়-বিক্রয় করে থাকেন। আদেশ বহাল থাকলে জনসাধারণকে ভোগান্তির শিকার হতে হবে।”

অন্যদিকে রিটকারী পক্ষের আইনজীবী বলেন, “আবাসিক এলাকায় পশুর হাট বসানো অমানবিক ও আইনবহির্ভূত। প্রতিবারই এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েন। এই সিদ্ধান্তে আদালত মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষা করেছেন।”

হাট সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও গবাদি পশু বিক্রেতাদের অনেকেই অবশ্য এই আদেশে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, বিকল্প বাজারের ব্যবস্থা না করলে তাদের ব্যবসা ক্ষতির মুখে পড়বে।

সিটি করপোরেশনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বিকল্প স্থান নির্ধারণে প্রশাসন কাজ করছে। রাজধানীর বাইরের অঞ্চলগুলোতে পশুর হাট স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।