ধর্ম প্রতিবেদক ||
পৃথিবীতে মানুষের জন্য মহান আল্লাহর অসংখ্য নিয়ামতের মধ্যে একটি অন্যতম মূল্যবান উপহার হলো নেককার ও চরিত্রবান স্ত্রী। ইসলামী শিক্ষায় এ ধরনের স্ত্রীর মর্যাদা অত্যন্ত উচ্চে স্থান পেয়েছে, যিনি স্বামী, সংসার এবং দ্বীন রক্ষায় এক অনন্য ভূমিকা পালন করেন।
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন,
“আর তাঁর নিদর্শনসমূহের অন্যতম হলো—তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকেই স্ত্রী সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তি পাও। আর তিনি তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও দয়ার সম্পর্ক স্থাপন করেছেন।” (সূরা রূম, আয়াত: ২১)
হাদীসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,
“দুনিয়া হলো ভোগ-বিলাসের বস্তু, আর এর মধ্যে সর্বোত্তম বস্তু হলো নেককার স্ত্রী।” (সহীহ মুসলিম, হাদীস: ১৪৬৭)
বিশিষ্ট আলেমগণ মনে করেন, নেককার স্ত্রী শুধু পারিবারিক শান্তির উৎসই নয়, বরং সমাজে সুস্থ প্রজন্ম গঠনের অন্যতম ভিত্তি। তিনি স্বামীর সহযোগী, সন্তানের প্রথম শিক্ষিকা এবং একটি জান্নাতি পরিবেশ সৃষ্টির মূলে থাকেন।
অন্যদিকে, বদকার ও দ্বীনহীন স্ত্রী সংসারে অশান্তির আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এ বিষয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.) সতর্ক করে বলেন,
“তিনটি বিষয় মানুষের জন্য দুর্ভাগ্যের কারণ—দুরাচারী স্ত্রী, খারাপ প্রতিবেশী ও অযোগ্য বাহন।” (আহমাদ, আবু দাউদ)
আধুনিক সমাজে পারিবারিক কলহ, বিচ্ছেদ ও মানসিক অস্থিরতার পেছনে নৈতিকতাবিহীন জীবনযাপন একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে ইসলামের নির্দেশিত আদর্শ স্ত্রী তথা নেককার স্ত্রীর গুরুত্ব আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সুস্থ পরিবার ও সমাজ গঠনে দ্বীনদার, চরিত্রবান জীবনসঙ্গীর নির্বাচন একান্ত জরুরি। শুধু রূপ, অর্থ কিংবা বংশ বিবেচনা না করে ইসলামী মূল্যবোধে অভ্যস্ত জীবনসঙ্গীর খোঁজ করাই একজন মুমিনের প্রকৃত বুদ্ধিমত্তা।