📅 রবিবার, ১১ মে ২০২৫ | ইসলামি জীবনধারা বিভাগ
✍️ প্রতিবেদক: ইসলামিক ডেস্ক
ইসলামে বিয়ে শুধু দুটি মানুষের সম্পর্ক নয়—এটি একটি পবিত্র চুক্তি এবং সমাজ ও পরিবারের ভিত্তিকে মজবুত করার গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এ সম্পর্ক গড়ে ওঠে আল্লাহর নির্দেশ ও রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর পথনির্দেশ অনুযায়ী। এই পথনির্দেশে দ্বীনদারি ও নৈতিক চরিত্রকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
📖 কুরআনের দৃষ্টিভঙ্গি:
আল্লাহ তাআলা বলেন:
“আর তোমাদের মধ্যে যারা বৈবাহিক জীবনযাপনের সামর্থ্য রাখে, তারা যেন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। তারা যদি দরিদ্রও হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের অভাবমুক্ত করবেন।”
— (সূরা আন-নূর, আয়াত: ৩২)
এই আয়াতে বিয়ের প্রতি উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে এবং দ্বীনদার মানুষদের বিয়ের মাধ্যমে সমাজে পবিত্রতা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়েছে।
📜 হাদিসের আলোকে বিয়ের মূল বিবেচ্য বিষয়:
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:
“তোমরা যদি এমন একজন ব্যক্তি পাও, যার দ্বীন (ধর্মীয়তা) এবং চরিত্রে তোমরা সন্তুষ্ট, তাহলে তার সঙ্গে বিয়ে দাও। তা যদি না করো, তাহলে পৃথিবীতে বড় ধরনের ফিতনা ও বিপর্যয় দেখা দেবে।”
— (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ১০৮৪)
অন্য হাদিসে তিনি আরও বলেন:
“নারীকে চারটি বিষয়ের ভিত্তিতে বিয়ে করা হয়: তার সম্পদ, বংশ, সৌন্দর্য এবং দ্বীনদারি। তবে তোমরা দ্বীনদার নারীকে অগ্রাধিকার দাও, তাহলে তুমি কল্যাণ লাভ করবে।”
— (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫০৯০; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৪৬৬)
👪 অভিভাবকদের দায়িত্ব:
ইসলামে অভিভাবকদের ওপর বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যাতে তারা সন্তানদের সঠিক পথে পরিচালিত করেন। অনেক সময় ছেলে-মেয়েরা বয়স ও অভিজ্ঞতার অভাবে বিয়ের ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। সে ক্ষেত্রে পিতা-মাতা ও অভিভাবকদের দায়িত্ব তাদের জন্য উপযুক্ত দ্বীনদার পাত্র বা পাত্রী নির্বাচনে সহায়তা করা।
🕊️ উপসংহার:
বিয়ে শুধু সামাজিক চাহিদা নয়, বরং এটি ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। তাই দ্বীন, চরিত্র ও নৈতিকতার ভিত্তিতে পাত্র-পাত্রী নির্বাচনের গুরুত্ব অপরিসীম। সমাজে শুদ্ধতা ও স্থিতি বজায় রাখতে হলে ব্যক্তিগত জীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনাকে সর্বাগ্রে মান্য করা উচিত।