আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আরবি চান্দ্র বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী আজ শুক্রবার মধ্যপ্রাচ্যে উদযাপিত হচ্ছে মুসলিমদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। কোরবানি, আত্মত্যাগ ও শান্তির এই দিনে যখন মুসলিম বিশ্বে আনন্দের ছোঁয়া লাগার কথা, তখনই রক্তে রঞ্জিত হলো গাজা।
ঈদের আগের দিন—বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সময়ে ইসরায়েলি বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭০ জন ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন আরও ১৮৯ জন।
গাজা উপত্যকায় টার্গেটেড হামলা
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানা যায়, ইসরায়েলি বাহিনী গাজা শহরের বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় বিমান হামলা চালায়। স্কুল, আশ্রয়কেন্দ্র, এমনকি হাসপাতালের পাশেও বোমা ফেলা হয় বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান,
“বুধবার রাতেই আমাদের এলাকায় তিনটি বড় বিস্ফোরণ হয়। বাড়িঘর কাঁপতে থাকে, শিশুরা চিৎকার করে ওঠে। আমাদের ঈদের নতুন জামা ছিল, কিন্তু এখন কাপড় নয়, সবাই দাফনের কাফনের ব্যবস্থা করছে।”
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও নীরবতা
এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহল থেকে এখনও জোরালো প্রতিবাদ পাওয়া যায়নি। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে ‘উদ্বেগ’ জানালেও কোনো কঠোর পদক্ষেপ বা আহ্বান আসেনি।
তবে তুরস্ক, কাতার, মালয়েশিয়া ও পাকিস্তানসহ কিছু মুসলিম দেশের পক্ষ থেকে নিন্দা ও ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানানো হয়েছে।
ঈদ নয়, কান্না গাজায়
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার এক বাসিন্দা বলেন,
“ঈদ নেই এখানে। পশু কোরবানি নয়, এখানে আজ মানুষ কোরবানি হলো।”
বিভিন্ন এলাকায় ঈদের জামাতও স্থগিত করা হয়েছে। অনেক পরিবার তাদের প্রিয়জনকে কবরস্থানে দাফন করে ফিরে এসেছে খালি ঘরে।
ঈদেও থেমে নেই যুদ্ধযন্ত্র
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা “সন্ত্রাসী ঘাঁটি” লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দাবি, ইসরায়েলের এই ‘টার্গেটেড অপারেশন’-এর অধিকাংশই বেসামরিক এলাকা ও নিরীহ জনগণের ওপর আঘাত হেনেছে।
বিশেষ প্রতিবেদন: