📍 আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত কূটনৈতিক পরিস্থিতির মাঝে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান পারমাণবিক আলোচনা চলাকালীন সময়েই ইরান চীন থেকে বিপুল পরিমাণ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির উপকরণ কিনছে বলে জানিয়েছে প্রভাবশালী মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল (WSJ)।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে WSJ জানায়, চীনের বিভিন্ন কোম্পানি থেকে ইরান যে উপাদানগুলো সংগ্রহ করছে, সেগুলো দিয়ে আনুমানিক ৮০০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা সম্ভব। এই চুক্তি বাস্তবায়িত হলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র বলছে, চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো মূলত জিরকোনিয়াম পাউডার, ফাইবারগ্লাস কম্পোজিটস, ফুয়েল প্রপেল্যান্টস এবং বিভিন্ন ধরণের উন্নত সেন্সর ও গাইডেন্স সিস্টেম সরবরাহ করছে, যা আধুনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
❝নতুন হুমকি হিসেবে দেখছে পশ্চিমারা❞
যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা এই ঘটনাকে মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্র প্রতিযোগিতা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির জন্য নতুন হুমকি হিসেবে দেখছে। হোয়াইট হাউজের একজন মুখপাত্র জানান,
“এই ধরনের অস্ত্র নির্মাণ উপাদান সংগ্রহ আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার লঙ্ঘন এবং এটি ইরান-চীন সামরিক সহযোগিতার গভীর সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়।”
❝ইরানের বক্তব্য❞
এদিকে ইরান এই বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য না করলেও দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র দাবি করেছেন,
“আমরা আমাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা উন্নয়নের জন্য বৈধভাবে যেকোনো দেশের সঙ্গে বাণিজ্য করতে পারি। এটা আমাদের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার অধিকার।”
❝চীনের অবস্থান❞
চীনের পক্ষ থেকেও সরাসরি এই অভিযোগের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব মোকাবেলায় চীন কৌশলগতভাবে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করছে।
❝পারমাণবিক আলোচনার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত❞
বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের এই কর্মকাণ্ড চলমান পারমাণবিক আলোচনার ভবিষ্যৎকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। গত মাসে ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত আলোচনায় কিছুটা অগ্রগতি হলেও, নতুন এই তথ্য আলোচনায় উত্তেজনা বাড়াবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিশেষ বিশ্লেষণ:
এই মুহূর্তে ইরানের সামরিক প্রস্তুতি ও কূটনৈতিক তৎপরতা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নজরদারির কেন্দ্রে রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনা হতে পারে বলেও ধারণা করছেন কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।