ঢাকাWednesday , 11 June 2025
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. ধর্ম ও জীবন
  8. বিনোদন
  9. বিশেষ প্রতিবেদন
  10. রাজনীতি
  11. সারাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ঈদের ছুটিতে লন্ডনে রাজনৈতিক উত্তাপ: ইউনূস-তারেক বৈঠক ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে

বার্তা কক্ষ
June 11, 2025 10:13 am
Link Copied!

📅 বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
🖋️ বিশেষ প্রতিবেদক

নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘিরে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হতে পারে বলেও ধারণা

ঈদের ছুটির আমেজেও দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বইছে উত্তেজনার হাওয়া। রাজধানী থেকে প্রান্তিক জনপদ—সবখানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে আগামী শুক্রবার লন্ডনে অনুষ্ঠিতব্য এক বহুল প্রতীক্ষিত বৈঠক। বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও সুশাসন আন্দোলনের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে উত্তপ্ত রাজনৈতিক আবহে এ বৈঠক হতে পারে একটি সম্ভাব্য টার্নিং পয়েন্ট। জানা গেছে, বৈঠকে প্রধানত নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা, নিরপেক্ষ নির্বাচনের নিশ্চয়তা এবং জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।


রাজনৈতিক পটভূমি ও বৈঠকের তাৎপর্য

গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক অঙ্গনে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে জানানো হয়েছে, নভেম্বরের মাঝামাঝি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন মহলে একটি নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি জোরালো হয়ে উঠেছে।

অপরদিকে, বিএনপির পক্ষ থেকে সরকার পতনের দাবির পাশাপাশি ‘নির্দলীয় নিরপেক্ষ’ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিও ক্রমশ তীব্র হয়ে উঠেছে। ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সুশাসনের পক্ষে নাগরিক সমাজের একটি অংশও সক্রিয়ভাবে সংলাপের মাধ্যমে সমাধানের আহ্বান জানিয়ে আসছে।


বৈঠকস্থল ও অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে গোপনীয়তা

বৈঠকটি লন্ডনের একটি নির্দিষ্ট ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেলেও, নিরাপত্তাজনিত কারণে স্থান ও সময় গোপন রাখা হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, বৈঠকে শুধু ইউনূস ও তারেক নন, প্রবাসী বাংলাদেশি রাজনৈতিক বিশ্লেষক, কিছু প্রাক্তন কূটনীতিক ও মানবাধিকারকর্মীরাও উপস্থিত থাকতে পারেন।


ক্ষমতাসীন দলের প্রতিক্রিয়া

আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতা এই বৈঠককে ‘রাজনৈতিক চাতুরী’ আখ্যা দিয়ে বলছেন, “বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হবে দেশের জনগণের দ্বারা, বিদেশে নয়।” তথ্যমন্ত্রী এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “নির্বাচন সংক্রান্ত সব আলোচনা হবে সংবিধান মেনে; কোনো বিদেশি ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না।”


জনমত ও সামাজিক প্রতিক্রিয়া

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ বৈঠক নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা। কেউ একে ‘গঠনমূলক সংলাপের সূচনা’ হিসেবে দেখছেন, কেউবা আবার এটিকে একটি ‘রাজনৈতিক কৌশল’ হিসেবে দেখছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. ফারজানা হক বলেন, “যদি এই বৈঠকের মাধ্যমে নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে একটি সমঝোতা সূচিত হয়, তাহলে তা হতে পারে বাংলাদেশ রাজনীতির জন্য একটি মাইলফলক।”


উপসংহার

ইউনূস-তারেক বৈঠক যেন শুধুই দুই নেতার বৈঠক না হয়ে উঠছে, তা স্পষ্ট দেশের অভ্যন্তরে প্রতিক্রিয়ার তীব্রতা দেখেই। শুক্রবার লন্ডনে কী হয়—তা হয়তো নির্ধারণ করে দেবে আগামী নির্বাচনের গতিপথ ও দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপ।