লাইফস্টাইল ডেস্ক | ৩ মে ২০২৫
জীবনের পথে চলতে গিয়ে পরিচয় হয় বহু মানুষের সঙ্গে। সময়ের পরিক্রমায় গড়ে ওঠে সম্পর্কের বন্ধন। কিন্তু সব সম্পর্কেই যে শুধুই আনন্দ আর সৌহার্দ্য থাকবে, বিষয়টি তেমন নয়। ভুল বোঝাবুঝি, মতবিরোধ বা হঠাৎ রাগের বশে বলা-কওয়া—সবকিছুই কখনো কখনো সম্পর্ককে নষ্ট করে দিতে পারে।
রাগের মুহূর্তে অনেক কথা বলে ফেলি, যা পরবর্তীতে অনুশোচনার কারণ হয়। তেমনই, অন্যের রাগের কথাও আমাদের মনে গভীর কষ্টের রেখা টেনে দেয়। তবে এসব ক্ষত নিরাময়ের সবচেয়ে বড় উপায় হলো ক্ষমা।
ক্ষমা শুধু একটি নৈতিক গুণ নয়, এটি একজন মানুষের উচ্চতা ও মনের প্রজ্ঞার পরিচায়ক। ক্ষমাশীল ব্যক্তি শুধু অন্যকে নয়, নিজেকেও মুক্ত করেন মানসিক ভার থেকে। ইসলামী মূল্যবোধ থেকে শুরু করে সব ধর্মীয় দর্শনেই ক্ষমাকে রাখা হয়েছে বিশেষ সম্মানের আসনে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হলে যেমন প্রয়োজন বোঝাপড়ার, তেমনি দরকার সময়মতো ক্ষমা করতে শেখা। পরিবার, বন্ধুত্ব বা সহকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হৃদয়ের প্রশস্ততা অপরিহার্য।
আজকের সমাজে যখন অসহিষ্ণুতা ও রাগ-ক্ষোভের জায়গা বাড়ছে, তখন ক্ষমা হয়ে উঠতে পারে শান্তি ও মানবিকতার এক নির্ভরযোগ্য আশ্রয়।