ঢাকাThursday , 15 May 2025
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. ধর্ম ও জীবন
  8. বিনোদন
  9. বিশেষ প্রতিবেদন
  10. রাজনীতি
  11. সারাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শুল্কমুক্ত সুবিধায় কাগজ আমদানি, ফায়দা লুটছে অসাধু চক্র বিপাকে দেশীয় শিল্প, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশে পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের জন্য শুল্কমুক্ত বন্ড সুবিধায় বিদেশ থেকে আমদানিকৃত কাগজ খোলাবাজারে বিক্রি করে দীর্ঘদিন ধরে ফায়দা লুটছে একটি প্রভাবশালী অসাধু চক্র। সরকারের নির্ধারিত নীতিমালায় স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ থাকার পরও অধিক মুনাফার আশায় তারা এই সুবিধাপ্রাপ্ত কাঁচামাল খোলা বাজারে বিক্রি করে আসছে। এতে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে দেশীয় কাগজ শিল্প, পাশাপাশি সরকারও রাজস্ব হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারি সুবিধার অপব্যবহার করে এই চক্রটি একদিকে যেমন বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে পাচার করছে, অন্যদিকে কর ফাঁকি দিয়ে রাজস্ব খাতে বড় ধরনের ঘাটতির সৃষ্টি করছে। সরকার যেখানে দেশীয় শিল্প রক্ষায় নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করছে, সেখানে এমন কর্মকাণ্ড এসব উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ পেপার মিল অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমএ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগপত্র দিয়ে এই বিষয়টি তুলে ধরেছে। তারা আমদানিকৃত কাগজের শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়, সরকারের দেওয়া বিশেষ সুবিধার অপব্যবহার করে কিছু প্রতিষ্ঠান মুদ্রণশিল্পের নামে শুল্কছাড়ে কাগজ আমদানি করলেও, বাস্তবে তা শিক্ষা বা প্রিন্টিং সেক্টরে ব্যবহার না করে বিক্রি করে দিচ্ছে খোলা বাজারে। এতে দেশীয় পেপার মিলগুলোর উৎপাদন ব্যয় ও বাজার প্রতিযোগিতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

একজন মিল মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “বিদেশি কাগজ কম দামে খোলা বাজারে চলে আসায় আমরা স্থানীয় উৎপাদন করে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছি না। অথচ আমরাই দেশে কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগের বড় উৎস।”

এ বিষয়ে এনবিআরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে শুল্কমুক্ত আমদানির নীতিমালায় পরিবর্তন আনা হতে পারে।”

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই ধরনের অনিয়ম শুধুমাত্র রাজস্ব ক্ষতির কারণ নয়, এটি দেশের শিল্প কাঠামো ও অর্থনীতির সামগ্রিক ভিত্তিকে দুর্বল করে দেয়। স্থানীয় শিল্পকে রক্ষার পাশাপাশি আমদানি শৃঙ্খলা নিশ্চিত করাও এখন সময়ের দাবি।