ঢাকাSunday , 18 May 2025
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. ধর্ম ও জীবন
  8. বিনোদন
  9. বিশেষ প্রতিবেদন
  10. রাজনীতি
  11. সারাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

🕋 সুদান থেকে আগত প্রথম হজযাত্রীবাহী জাহাজ জেদ্দায় পৌঁছেছে

বার্তা কক্ষ
May 18, 2025 11:20 am
Link Copied!

📍 বিশেষ আয়োজন, উন্নত সেবায় মুগ্ধ হজযাত্রীরা

জেদ্দা প্রতিনিধি: পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে সুদান থেকে যাত্রা করা প্রথম হজযাত্রীবাহী জাহাজ আজ সৌদি আরবের জেদ্দা ইসলামিক পোর্টে পৌঁছেছে। বুধবার সকালে জাহাজটি জেদ্দায় নোঙর করে। এতে ছিলেন মোট ১ হাজার ৪০৭ জন হজযাত্রী। তাদের বরণ করতে জেদ্দা বন্দরে ছিল ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন ও সর্বোচ্চ প্রস্তুতি।

বন্দরে জাহাজটি পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই হাজিদের অভ্যর্থনায় এগিয়ে যান সৌদি পরিবহন ও সরবরাহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বন্দর কর্তৃপক্ষ ‘মাওয়ানি’-র দায়িত্বশীলরা এবং হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা।

হজযাত্রীদের নিরাপদ অবতরণ, ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া, লাগেজ হস্তান্তর ও হজ ক্যাম্পে পাঠানোর পুরো প্রক্রিয়াটিই হয়েছে অত্যন্ত সুচারুভাবে। ব্যবহৃত হয়েছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও স্বয়ংক্রিয় সেবা ব্যবস্থা।

🔹 ব্যতিক্রম আয়োজন

জেদ্দা ইসলামিক পোর্টে হজযাত্রীদের আগমনের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে বিশেষ হজ করিডোর। স্থাপন করা হয়েছে ১০০টির বেশি ইমিগ্রেশন কাউন্টার। লাগেজ বহনের জন্য রাখা হয়েছে ৩০০টিরও বেশি পরিবহনযান। নৌযান পরিচালনায় প্রস্তুত ছিল ৯টি টাগবোট ও ১২টি সহায়ক জলযান।

🔹 ২০৩০ লক্ষ্য সামনে রেখে আধুনিক সেবা

সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে হজ ও ওমরাহ খাতে আধুনিকায়নের কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। প্রযুক্তিনির্ভর সেবা, দ্রুততর অভ্যর্থনা ব্যবস্থা এবং স্বাস্থ্য সহায়তায় এবার নজিরবিহীন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

মাওয়ানি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাজেন বিন আহমেদ আল-তুর্কি বলেন, “আমরা হজযাত্রীদের যাত্রা অভিজ্ঞতাকে নিরাপদ ও আরামদায়ক করতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি। এ বছর যাত্রীসেবায় যুগান্তকারী পরিবর্তন দেখা যাবে।”

🔹 সন্তুষ্ট হজযাত্রীরা

সুদান থেকে আগত হজযাত্রী মুস্তাফা আলী জানান, “সাগরপথে প্রায় একদিনের যাত্রা শেষে বন্দরে পৌঁছে এমন সেবা পাবো ভাবিনি। ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া মাত্র কয়েক মিনিটে শেষ হয়েছে।”

সৌদি সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে ওআইসি ও বিভিন্ন মুসলিম রাষ্ট্রও। তারা আশা করছে, সামুদ্রিক পথে হজযাত্রী পরিবহন আরও বিস্তৃত হবে এবং মুসলিম বিশ্বের জন্য এ এক নতুন দিগন্তের সূচনা।