নিজস্ব প্রতিবেদক ||
ঢাকা, ২৪ মে:
মনোনয়ন বাণিজ্য, চাঁদাবাজি এবং ডাকাতির মতো গুরুতর অভিযোগে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদেরসহ দলের শীর্ষস্থানীয় ১০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার (২৪ মে) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য এবং মানবাধিকারকর্মী নাজমিন সুলতানা তুলি। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলাটি পরবর্তী আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।
অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন:
-
জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের
-
দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু
-
অতিরিক্ত মহাসচিব রেজাউল ইসলাম
-
কেন্দ্রীয় সদস্য নেওয়াজ আলী ভূঁইয়া
-
জিএম কাদেরের স্ত্রী শেরিফা কাদের
-
সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ
-
উত্তরা গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক ডিসি আকরাম
-
গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগের সাবেক এডিসি নাজমুল
-
বিমানবন্দর জোনাল টিমের এসআই পবিত্র সরকার
-
ঢাকা মহানগর উত্তর জাতীয় পার্টির সদস্য মো. সাঈদুল ইসলাম
বাদী নাজমিন সুলতানা তুলির অভিযোগ, দলীয় মনোনয়ন বিক্রির নামে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছে জাপার অভ্যন্তরে। তিনি দাবি করেন, জিএম কাদের ও তার ঘনিষ্ঠ মহলের ইশারায় অসৎ উপায়ে চাঁদা আদায় ও হুমকি-ধমকি দিয়ে আর্থিক এবং মানসিকভাবে তাকে ও তার পরিবারকে নির্যাতন করা হয়েছে।
মামলার আবেদনে আরও বলা হয়, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু কর্মকর্তার সহায়তায় বাদীর বাসায় হামলা চালান এবং সেখানে ডাকাতি সংঘটিত হয়। এতে মূল্যবান কাগজপত্র, নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুট হয়ে যায়।
বাদী আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
এদিকে মামলার বিষয়ে জাপার কোনো পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক মহলে এ মামলা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে এমন মামলা রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। কেউ কেউ এটিকে দলীয় কোন্দলের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখছেন, আবার অনেকে এটিকে রাজনীতির নামে দুর্নীতির বাস্তব চিত্র হিসেবে উল্লেখ করছেন।
মামলার পরবর্তী আদেশের জন্য অপেক্ষা করছে আদালত।