আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সোমবার, ১৩ মে ২০২৫
ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে যখন যুদ্ধাবস্থা তৈরি হচ্ছিল, তখনই হঠাৎ নড়েচড়ে বসে যুক্তরাষ্ট্র। অথচ কিছুদিন আগেই দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেছিলেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার দ্বন্দ্ব ‘তাদের বিষয় নয়’। কিন্তু সেই ভ্যান্সই শেষ পর্যন্ত সরাসরি ফোন করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে যুদ্ধ বিরতিতে রাজি করান।
প্রশ্ন উঠছে—হঠাৎ কেন এই অবস্থান পরিবর্তন?
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, শুক্রবার সকালে যুক্তরাষ্ট্র এমন এক ‘ভীতিকর’ গোয়েন্দা তথ্য পায়, যা অনুযায়ী দক্ষিণ এশিয়ায় ছড়িয়ে পড়তে পারত বড় ধরনের সামরিক সংঘাতের আগুন। তথ্য পাওয়ার পরপরই হোয়াইট হাউসে জরুরি বৈঠক বসে। ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের নেতৃত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, অন্তর্বর্তী জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মার্কো রুবিও এবং চিফ অব স্টাফ সুজি ওয়াইলস।
তথ্য বিশ্লেষণে উঠে আসে, যুদ্ধ অব্যাহত থাকলে তা পারমাণবিক সংঘাতে রূপ নিতে পারে—এমন আশঙ্কাই সত্যিকার অর্থে কাঁপিয়ে দেয় ওয়াশিংটনকে। এরপরই শুরু হয় কূটনৈতিক তৎপরতা।
বিশ্বস্ত সূত্রের বরাতে সিএনএন জানায়, সেই গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার পর ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্স নিজেই হস্তক্ষেপ করেন এবং মোদিকে ফোন করেন। ভারতকে সংযত থাকার আহ্বান জানান এবং দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।
পাকিস্তানকেও একই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মাধ্যমে ইসলামাবাদে কূটনৈতিক বার্তা পাঠানো হয়, যেখানে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানানো হয়।
বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষিণ এশিয়ার মতো স্পর্শকাতর অঞ্চলে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়লে তা শুধু ভারত-পাকিস্তানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকত না, বরং বৈশ্বিক অর্থনীতিসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বড় ঝাঁকুনি সৃষ্টি করত। ফলে যুক্তরাষ্ট্র শেষ মুহূর্তে হলেও সক্রিয় হয়ে পড়ে।
এদিকে, মোদির সঙ্গে ফোনালাপের বিষয়টি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ না করা হলেও, হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর মিলেছে—এই আলোচনার ফলেই যুদ্ধবিরতির পথ তৈরি হয়।